শিল্পীদের রুদ্রতাণ্ডব...! ছৌঁ নাচ দেখলেও কালিকাপাতাড়ি সম্পর্কে ক'জন জানেন?

Last Updated:

নৃত্যটি শিবের বিভিন্ন কাহিনি অবলম্বনে পরিবেশিত হয়, যেখানে শিবের যুদ্ধ এবং রাগ কমার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়।

+
হাওড়া

হাওড়া জেলার লোকনৃত্য কালিকাপাতাড়ি।

হাওড়া, রাকেশ মাইতি: হাওড়া জেলার একটি লোকনৃত্য হল কালিকাপাতাড়ি। জেলার একাংশের মানুষের মধ্যে এই লোকনৃত্যর প্রতি রয়েছে আলদা কদর। পৌরাণিক বিভিন্ন কাহিনী চিত্র এই লোক নৃত্যের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়। বর্তমান সময়ে ছোট বড় সকলের মন জয় করছে এই লোকনৃত্য। বিশেষ করে শিল্পীদের আকর্ষণীয় সাজ ছোটদের ভীষণ পছন্দের। কিন্তু একসময় শুধুমাত্র ভূষকালি মেখে কালীনৃত্যের মাধ্যমে পরিবেশিত হতকালিকাপাতাড়ি।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘটেছে এর পরিবর্তন। সেকাল থেকে একাল, জেলার এই লোকনৃত্যের অবস্থান সম্পর্কে জানালেন হাওড়া’র শ্যামপুরের রতনপুরে কালিকাপাতাড়ি দলের সম্পাদক শিবশঙ্কর রায়। কালিকাপাতাড়ি নৃত্য হাওড়া জেলার একটি নিজস্ব লোক ঐতিহ্য। এটি এক প্রকার লোকনাট্য, যা পুরুলিয়ার ছৌ-নৃত্যের সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে ছৌ-এর মতো মুখোশের ব্যবহার এখানে নেই। এই নৃত্যটি শিবের বিভিন্ন কাহিনি অবলম্বনে পরিবেশিত হয়, যেখানে শিবের যুদ্ধ এবং রাগ কমার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : শহরের রাস্তা এখন ‘তেনাদের’ দখলে, তাড়াহুড়ো করলেই নির্ঘাত যমদুয়ার! দুর্গাপুরে হচ্ছেটা কী?
গত পঁচিশ বছর যাবৎ শ্যামপুর থানার রতনপুর গ্রামের কালিকাপাতাড়ি দলটি জেলা এবং জেলার বাইরের বিভিন্ন অংশে নাচটি পরিবেশন করছে।  মূলত, শিবচতুর্দশীর রাতে শিবের ব্রত করা মহিলাদের জাগিয়ে রাখতে ও আনন্দদানের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় এই লোকশিল্প পরিবেশিত হত। শুধু শিবচতুর্দশী নয়, নীলষষ্ঠীর রাতে নীলের বিয়ের পর ভোরে এখন কালিকাপাতাড়ি নৃত্য অনুষ্ঠিত হয় শ্যামপুরের রতনপুর গ্রামে। পুরাণ ও মহাকাব্যের ভিত্তিতে মুখে মুখে রচিত হয় এক-একটি টুকরো কাহিনী। বাদ্যযন্ত্র সহকারে এই কাহিনীগুলিই মঞ্চে অভিনীত হয়। কাহিনীগুলি পুরাণ ও মহাভারতের এমন সমস্ত অংশ থেকে গৃহীত হয়, যেখানে শক্তির প্রদর্শন হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : ‘ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো’! ৪ সেন্টিমিটার শঙ্খে নবদুর্গা, বিষ্ণুপুরের যুবকের হাতের জাদু 
শিব-দুর্গা-কালী – অশুভ শক্তির বিনাশ করে স্থলে-জলে-অন্তঃরীক্ষে তথা ত্রিভুবনে কীভাবে শান্তির বাণী পৌঁছে দিয়েছিলেন, তা প্রধানত হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে এই নৃত্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন বেশভূষায় সজ্জিত হয়ে কলাকুশলীরা পালায় অংশ নেন। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে সামিল শ্যামপুরের বললাম দাস, শিবশঙ্কর রায়, রনজিৎ পুরকাইত, চণ্ডী ধাউর এবং কালিকাপাতাড়ি রিসার্চ সেন্টার। আবার জেলার এই শিল্পকে দেশ ও দশের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে কেউ শুরু করেছেন গবেষণা। সরকারি তরফে কালিকাপাতাড়ি শিল্পীদের দেওয়া হয়েছে আর্টিজ়েন কার্ড। সেই কার্ড হোল্ডাররা ডাক পান সরকারি প্রকল্পের প্রচারের কাজে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন কালিকাপাতাড়ি নৃত্য পরিবেশন করে তাঁরা প্রচার করেন। বেশ কয়েক বছর আগে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আমতার উদং গ্রামের প্রতিষ্ঠা করেছেন কালিকাপাতাড়ি রিসার্চ সেন্টার। সেখানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দেওয়া হচ্ছে কালিকাপাতাড়ির পাঠ। শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে চলছে নিরন্তর গবেষণা।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
শিল্পীদের রুদ্রতাণ্ডব...! ছৌঁ নাচ দেখলেও কালিকাপাতাড়ি সম্পর্কে ক'জন জানেন?
Next Article
advertisement
Weather Update: ২৫ ডিসেম্বর থেকেই বড় বদল আবহাওয়ায়! আরও নামবে পারদ, কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশার সতর্কতা বঙ্গে
২৫ ডিসেম্বর থেকেই বড় বদল আবহাওয়ায়! আরও নামবে পারদ, কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশার সতর্কতা
  • দক্ষিণবঙ্গে বুধবার পর্যন্ত এবং উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কুয়াশার সতর্কতা

  • সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পরে পরিষ্কার আকাশ

  • কুয়াশার কারণে দিনভর শীতের অনুভূতি

VIEW MORE
advertisement
advertisement