ডাকাত দল পরিবারের সবাইকে মারধর করে সর্বস্ব লুঠ করে চলে যাওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও মিলল না সাড়া । ১০ থেকে ১২ বার থানায় ফোন করলেও ফোনই ধরল না কেউ।
সাহায্য চাইতে এর পর ফোন গেল লালবাজারে। সেখান থেকে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের সুপারের দফতরে ফোন করে জানানো হয় ডাকাতির ঘটনা। লালবাজারের ফোন পেয়ে তার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাওড়া পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন- South 24 Parganas News: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া! প্রতারণার শিকার বহু!
ডাকাতদের হাতে হেনস্থা হওয়ার পর পুলিশের এমন কার্যকলাপে বিস্মিত গোটা পরিবার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর পর দুটি ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত জগতবল্লভপুরের বাসিন্দারা ।
জগৎবল্লভপুরের কালীতলার বাসিন্দা প্রভাস ঘোষের অভিযোগ, শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে ৫-৬ জনের দুষ্কৃতীদের দল।
প্রথমে গেট ভাঙার আওয়াজ পেয়ে ওঠেন প্রভাসবাবুর স্ত্রী কল্যাণী দেবী। ডাকাত দল তাকে দেখতে পেয়েই মারধর করে । স্ত্রীর আর্তনাদ শুনেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন প্রাক্তন পরিবহন কর্মী প্রভাস বাবু । তাঁকেও মারধর করে তার।
এর পর প্রভাসবাবুর মেয়ে এলে তাঁকেও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ডাকাতরা। এমনকী আলমারির চাবি না দিলে তাঁকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে । ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সবাইকে বেঁধে রাখে ৪৫ মিনিট।
এর পর লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা । বাড়ি থেকে ডাকাত দল আলমারি খুলে প্রায় কুড়ি ভরি সোনার গহনা নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। নগদ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে পরিবারের তিনজন সদস্যকে বেঁধে রেখে চম্পট দেয় ডাকাতরা।
আরও পড়ুন- North 24 Parganas News: ২০ সেকেন্ডের টর্নেডোতেই সব শেষ সন্দেশখালি সরবেরিয়া গ্রামের! ভয়াবহ অবস্থা!
ডাকাতির ঘটনা লোপাট করতে বাড়িতে লাগানো সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক সমেত VTR মেশিন খুলে নিয়ে যায় ডাকাত দল । দুদিনে দুটি ডাকাতির ঘটনায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। পর পর দুটি ঘটনার সাথে কি যুক্ত একটাই দল ? উঠছে প্রশ্ন | আর পরপর দুটি ডাকাতির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।