ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এবারেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সুন্দরবন, কাকদ্বীপের মতো উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর৷ ১৯ থেকে ২৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে৷ এই অবস্থায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই দশ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন৷ আজ সকাল থেকে মৌসুনি দ্বীপ, ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন,কন্ট্রোলরুম হাওড়ায়
সুন্দরবনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে কাকদ্বীপ মহকুমার বকখালি, সাগর, কাকদ্বীপে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এই সিসিটিভির ফুটেজ সরাসরি চলে যাচ্ছে নবান্নার কন্ট্রোলরুমে। জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্দেশ দেওয়া হবে জেলা কন্ট্রোলরুম ও মহকুমা কন্ট্রোলরুমে। শনিবার রাতের মধ্যে জেলার বন্দর ও ঘাটে ফিরে এসেছে বেশীরভাগ মৎস্যজীবী ট্রলার।রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫০০টি মৎসজীবী দের ট্রলার ফিরে আসে। রবিবার বেলায় কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে পুলিশের অভিযানে একটি মৎস্যজীবী নৌকা আটক করা হয়েছে। নিয়ম ভেঙে মাছ ধরছিল নৌকাটি। সমুদ্রে নজর রাখছে উপকূলরক্ষী বাহিনীও৷
আরও পড়ুন: ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় কড়া নজরদারি পূর্ব মেদিনীপুরে!
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় এনডিআরএফ-এর ১৮ সদস্যের একটি দল পৌঁছে গিয়েছে৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, সিত্রাংয়ের দাপটে দুই চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত সুন্দরবনেই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ হাওয়ার দাপট এবং জলোচ্ছ্বাসের জেরে ভাঙতে পারে কাঁচা বাড়ি, কাঁচা বাঁধ, বিপর্যস্ত হতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা৷ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ফসলেরও৷ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফেরি সার্ভিস৷ বকখালিতে সমুদ্র সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের৷
আজ কালীপুজো। সাগর ব্লক সহ সুন্দরবনজুড়ে কয়েক হাজার বারোয়ারি পুজো হচ্ছে। কিন্তু পুজো কমিটি দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। আজ সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে অমাবস্যা। নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় অতীতে সুন্দরবন একাধিকবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এবারেও ২৫ তারিখ সকালে অমাবস্যার কোটাল রয়েছে৷ ফলে একে ঘূর্ণিঝড়, তার সঙ্গে অমাবস্যার কোটাল, জোরা দুর্যোগের জেরে ফের একবার বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সুন্দরবন সহ দুই চব্বিশ পরগণার উপকূল এলাকার বাসিন্দারা৷