এই দল থাকবে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা ও কুলতলিতে। এর টিমের পাশাপাশি যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এস ডি আর এফ ও এন ডি আর এফের সাথে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার প্রতিটি মহকুমা ও ব্লকে থাকবে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখা হবে৷ বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতিতে আগে থেকে মজুত করা হচ্ছে শুকনো খাবার, ত্রিপল, পানীয় জলের পাউচ। প্রতি ব্লকে ইতিমধ্যেই তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত বৈঠক করা হয়েছে৷ বেহাল ও দুর্বল নদী বাঁধ এলাকায় সেচ দফতরের বিশেষ দল কড়া নজরদারি চালাবে৷
advertisement
আরও পড়ুন - পুষ্টি যেন কম না থাকে, সায়নীকে দেওয়া হবে দুধ ও মাংস, মলোকাই চ্যানেল জয় করে আর যা পেলেন
প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে কিছু বাঁধের মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতরের তরফে আগে থেকেই অতিরিক্ত খুঁটি আনিয়ে রাখা হয়েছে৷ এছাড়া কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার সাথে৷ তাদের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ারে জেনারেটর রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে বিপর্যয় ঘটলে, বিদ্যুতের বিকল্প হিসাবে জেনারেটর ব্যবহার করা যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা শাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, সকলের সাথে বৈঠক করে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকবে। প্রতিটি ফ্লাড সেন্টার, স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন করে রাখা আছে। উপকূল এলাকায় কড়া নজরদারি চলছে। প্রয়োজন হলে সবাইকে দূরবর্তী স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এখন থেকেই নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগরে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের তরফে চলছে মাইকিং। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মাইকিং করছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে জেলাশাসক কাকদ্বীপ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
ABIR GHOSHAL