ইতিমধ্যেই ভাঙড় ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত সরকারি কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত ব্যক্তির নাম আশরাফুল রহমান। তিনি ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামের বাসিন্দা। আশরাফুল ভাঙড়-২ ব্লকের মিড-ডে মিল প্রকল্পে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন।
advertisement
অভিযোগ, রবিবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে মেসেজ আসে, ভাঙড় ২ ব্লকের প্রাক্তন যুগ্ম বিডিও মণিমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের নামে একটি প্রোফাইল থেকে। বার্তায় জানানো হয়, এক পরিচিত সিআরপিএফ অফিসার কলকাতা থেকে ট্রান্সফার হচ্ছেন, তাই তিনি টিভি, ফ্রিজ, সোফা, খাট, ওয়াশিং মেশিন, ডাইনিং টেবিলের মতো জিনিসপত্র কম দামে বিক্রি করতে চান। আশরাফুল সে সব কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সিআরপিএফের পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে ৭০ হাজার টাকায় রফা হয়। অগ্রিম হিসেবে ২০ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে দেন আশরাফুল।
টাকা পাঠানোর পরেই সন্দেহের শুরু। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সিআরপিএফ অফিসার সন্তোষ কুমার বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির মোবাইল বন্ধ পান আশরাফুল। সরাসরি যুগ্ম বিডিও মণিমিত্রাকে ফোন করেন তিনি। তাঁর নম্বরও বন্ধ ছিল। পরে মণিমিত্রার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, কয়েক দিন আগেই মণিমিত্রার ফোন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতারিত হয়েছেন বুঝে আশরাফুল পুলিশের দ্বারস্থ হন। তিনি বলেন, ‘পরিচিত ম্যাডামের নাম দেখেই বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম। ভাবিনি, এ ভাবে প্রতারিত হতে পারি’। পুলিশ জানিয়েছে, আশরাফুল ছাড়াও আরও কয়েক জনকে একই ভাবে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম সেল। পুলিশ জানিয়েছে, সাইবার ক্রাইম নিয়ে বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তারপরেও অনেকে ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।