সেইসব ক্যাকটাস রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যও এখন বিক্রি হচ্ছে দেদার। অনলাইনের মাধ্যমে অনায়াসে যে কেউ কিনতে পারবেন দেশি বিদেশি সাতশো প্রজাতির এই ক্যাকটাস। প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি ছেড়ে এই ক্যাকটাস চাষ করেই এখন বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছেন রঘুনাথপুরের যুবক সুরঞ্জন সরকার। তিনি জানান, কালিম্পং ঘুরতে গিয়ে পরিকল্পনাটা মাথায় এসেছিল সুরঞ্জনের। ক্যাকটাসের বাগান দেখে আশ্চর্য হয়েছিলেন তিনি। তখনই ভেবেছিলেন, পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য একটা ক্যাকটাসের বাগান গড়বেন। কালিম্পং থেকে ফিরেই শুরু হয়েছিল তোড়জোড়। জয়চণ্ডী পাহাড়ের নিচেই প্রায় এক বিঘা জায়গার উপর পলি হাউস বানিয়ে শুরু করেন চাষ। বছর খানেকের চেষ্টায় নিজের পরিশ্রমেই তৈরি হয় ক্যাকটাস ও জেরোফাইট প্রজাতির গাছের বাগান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাকটাসগুলি সংগ্রহ করে শুরু হয় চাষ।
advertisement
তবে এই চাষ যথেষ্ট খরচ-সাপেক্ষ। সুরঞ্জন জানান, দুটি পলি হাউস তৈরি করতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মতো ক্যাকটাস গাছ রয়েছে। পাহাড়ের নীচে এই ক্যাকটাস চাষ স্কুল পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষামূলক একটি স্থানও হয়ে উঠেছে। এই ক্যাকটাস বা ‘জেরোফাইট’ প্রজাতির গাছ মূলত জন্মায় এমন জায়গায়, যেখানে আবহাওয়া রুক্ষ ও উষ্ণ। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষ করে, ক্যাকটাস হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে, ওজন কমাতে এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।