স্থানীয় বাসিন্দা সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুরে গঙ্গায় কুমির দেখা যায়। পরে ভুল ভাঙে স্থানীয়দের। জানা যায় আদতে তা ঘড়িয়াল। একে তো গঙ্গা ভাঙন। তারপর গঙ্গায় কুমির বা ঘড়িয়ালকে দেখে আতঙ্কে মাছ ধরতে নামতে পারছেন না মৎসজীবিরা।
ভাঙনের আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন এবং তার উপরে যে সমস্ত পরিবার গঙ্গার পাড়ে বসবাস করছে। কোনও রকম মাছ ধরে নিজের সংসার চালাবেন সেই অবস্থায় এই কুমির দেখতে পাওয়ায় মৎসজীবিরা গঙ্গায় আর নামতে পারছেন না। বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না নতুন শিবপুর গ্রামের মানুষের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বন দফতরের আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পদবী ‘সর্দার’ বাদ দিয়েছেন, মানুষ ও সাপের বন্ধু তিনি, নাম ‘সাপ বাপী’
বন দফতর সুত্রে জানাযায়, বিষয়টি জানার পর বনদফতরের কর্মীরা এলাকায় যায় এবং বনদফতরের পক্ষ থেকে সেই এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে মৎস্যজীবীদের সচেতন করা হচ্ছে। গঙ্গার পাড় থেকে কুমির বা ঘড়িয়াল না যাওয়া পর্যন্ত গঙ্গায় নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া মৎসজীবীদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকায় বনদফতরের কর্মীরা মোতায়েন আছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মা-মেয়ের সঙ্গে প্রেম, হলদি নদীর পাড়ে ভয়ানক পরিণতি! ৫ বছর পর বড় রায় দিল তমলুক আদালত
ঘড়িয়াল হল মূলত এক প্রাচীন সরীসৃপ। এটি মেছো কুমির, ঘট কুমির নামেও পরিচিত। প্রধান খাদ্য মাছ বলেই হয়ত মেছো-কুমির নাম। কারও কারও মতে, মাথা ও তুন্ড দেখতে অনেকটা ঘোড়ার মাথা ও মুখের মতো বলেই এদের নাম ঘড়িয়াল। অন্যদের মতে, ঘোড়া থেকে নয়, ঘড়া থেকেই ঘড়িয়াল হয়েছে। ঘড়িয়ালের তুন্ডে কোমল হাড় দিয়ে তৈরি একটি অষ্টভুজ উদগত অংশ থাকে যা দেখতে ঘড়ার মতো।
ঘড়িয়াল দেখা মিলতেই এই ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় কুমির দেখা যেতেই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে এটা যে কুমির নয় ঘড়িয়াল তা বুঝতে পারেন অনেকেই।