মানিকচকের কাঞ্চনটোলা এলাকায় মরা কালিন্দ্রী নদীর পাড়ে মাথা তুলে থাকতে দেখা যায় কুমিরটিকে। তবে শরীরের বেশির ভাগ অংশ জলের মধ্যে ডুবে থাকায় কুমিরটি পূর্ণবয়স্ক কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি।
নদীতে কুমির দেখার ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় নদী পাড়ে। প্রথমে কুমির না ঘড়িয়াল, তা নিয়ে প্রথমে খানিক সন্দেহ তৈরি হয়। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরকে। এলাকায় পৌঁছন মালদহের বিভাগীয় বনাধিকারিক।
advertisement
আরও পড়ুন- বন্দিদের খাবারের স্টল-এ জমজমাট ভিড়, মেলায় 'অন্য ছবি' দেখে সবাই অবাক
এলাকায় যায় পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন। বন দপ্তর কুমির নিশ্চিত করার পরে শুরু হয় তৎপরতা। ওই এলাকায় কুমিরের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, আবার একইসঙ্গে মানুষও কোনওরকম অসুবিধে না পড়েন , সেই জন্য আপাতত নদীতে স্নান বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
খাদ্যের সন্ধানে অথবা কোনও মাছ তাড়া করে কুমির মরা কালিন্দী নদীতে ঢুকে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা বন দপ্তরের। স্থানীয়রা জানিয়েছে, স্মরণাতীত কালে কালিন্দী নদীতে কখনও কুমিরের দেখা মেলেনি।
এদিন নদী পারে কুমিরের রোদ পোহানোর ছবি ছড়াতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। প্রচুর মানুষ এলাকায় ভিড় করেন। এই নদীতে দৈনন্দিন প্রচুর মানুষ স্নান করা সহ অন্যান্য কাজ করে থাকেন। কিন্তু কুমিরের উপস্থিতি জানার পর এখন নদীতে নামলে বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা বন দপ্তরের।
আরও পড়ুন- প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে 'প্রতারিত' যুবতী, ন্যায়বিচারের আশায় দ্বারস্থ প্রশাসনের
সাধারন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যাতে কুমিরের কোনো ক্ষতি না করে, সেদিকেও নজর রাখছে বন দপ্তর ও প্রশাসন । বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে , নদীতে কুমির ধরার মতো বিশেষঞ্জ কোনো দল মালদহে নেই। তাই সুন্দরবনে বন দপ্তরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলের সাহায্য নিয়ে কালিন্দী নদীতে উপস্থিত কুমিরটিকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে ।