মাজদিয়া পানসিলা পঞ্চায়েতের খেজুর বাগান গ্রামের বাসিন্দা বাদল দেবনাথের বয়স ৬৬ বছর৷ তিনি মরণোত্তর দেহ দান করতে আগ্রহী হলেন। কলেজ জীবন কেটেছে রাজনীতির মধ্যে দিয়ে। তার পরও রাজনীতিকে পাথেয় করে এগিয়ে গিয়েছিন বাদলবাবু৷ ১৯৯৩ সালে তিনি মাজদিয়া পানশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। বর্তমানে একজন সমাজকর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন Bengal News: মাটির বোতলে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে পটচিত্র, গরমে জল খেয়ে স্বস্তি পাচ্ছে সাধারণ মানুষ
কল্যাণী এইমস্ হাসপাতাল কতৃপক্ষের থেকে জানা গিয়েছে, মরণোত্তর দেহদান প্রক্রিয়া চালু করার পর থেকে বেশ ভালই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কল্যাণী ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন মানুষ মরণোত্তর দেহ দান করতে উদ্যোগী হয়েছেন। যদি কোনও ব্যক্তি মরণোত্তর দেহ দান করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে কল্যাণী এইমস হাসপাতালের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ফোন নম্বর পেয়ে যাবেন৷ সেই নম্বরে যোগাযোগ করে নিতে পারলে সবিস্তারে এই বিষয় জানিয়ে দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এখনও পর্যন্ত মোট আট জন ব্যক্তি সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। বাকি ২২ জন ব্যক্তি উদ্যোগী হয়েছেন মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গিকার করতে৷ ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। বাকি রয়েছে আইনি প্রক্রিয়া। এই পর্যন্ত মোট ৩০ জন ব্যক্তি মরণোত্তর দেহ দান করতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানালেন, অ্যানাটমি বিভাগের হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট অধ্যাপক ড: বিশ্ববীণা রায়।
আরও পড়ুন Death By Drowning: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, নদিতে তলিয়ে গেলেন মৎস্যজীবী
মরণোত্তর দেহ দাতা বাদল দেবনাথ জানান, "ছাত্রজীবন থেকেই মানুষের সেবা ও কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োগ করেছি। মৃত্যুর পরেও আমার এই দেহ যাতে মানুষের সেবায় লাগে সেই কারণেই মরণোত্তর দেহ দান করতে উদ্যোগী হলাম। আমার এই সিদ্ধান্তে পরিবারকে আমার পাশে পেয়েছি। এবং আশা রাখবো আমার পরে আরও অনেকে উদ্যোগী হবেন মরণোত্তর দেহ দান করতে।"