জানা গিয়েছে, মৃত শান্তা বিশ্বাস এবং স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাসের মধ্যে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত অশান্তি চলছিল। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালেও দু'তিনবার স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাসকে ঘরে ঢুকতে বেরোতে দেখেছেন স্থানীয়রা। গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার আগেই এলাকা থেকে চম্পট দেন বিশ্বনাথ, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: চিনা মাঞ্জার দুর্ঘটনা থামছে না, মা উড়ালপুলের দু'দিকেই লোহার জাল লাগানোর প্রস্তাব কলকাতা পুলিশের
advertisement
বছর কুড়ি আগে অশোকনগর থানার দিঘীরহাট এলাকার শান্তা বিশ্বাস ও বিশ্বনাথ বিশ্বাসের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে শুক্রবার দিঘীরহাট বাপের বাড়িতে মেয়েকে রেখে আসেন শান্তা। রাতভর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। তারপর ঘর থেকে স্ত্রীর দেহ উদ্ধার, স্বামী বেপাত্তা...সব মিলিয়ে এলাকাবাসীর প্রাথমিক ধারণা স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে বিশ্বনাথ পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে সংখ্যা, জঙ্গলের এলাকা দখল নিয়ে রক্ত ঝরছে সুন্দরবনে! রয়্যাল বেঙ্গলের ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন স্ত্রীকে সন্দেহ করত বিশ্বনাথ। মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হত। তবে কী কারণে এই গৃহবধূর মৃত্যু হল তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পলাতক স্বামীর খোঁজ চালাচ্ছে অশোকনগর থানার পুলিশ।