এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানায়। মহিষাদল থানায় এলাকার তাজপুর গ্রামে একটি গৃহস্থের বাড়ির গোয়াল ঘরের চাবি ভেঙে তিনটি শংকর প্রজাতির গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। পরবর্তীকালে তা গরুর হাটে বিক্রি করে দেয়। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছে মহিষাদল থানার পুলিশ।
চোরকে ধরা হলেও চোরের এমন জবানবন্দি বেকাদায় ফেলেছে পুলিশ অফিসারদের। মহিষাদল থানার তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজলী মেট্যা বরাবর গরু পালতে ভালবাসতেন। তাঁর বাড়ির গোয়ালে শংকর প্রজাতির গরু ছিল। কিন্তু ৭ নভেম্বর রাতে গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয় গরু।
advertisement
সকালবেলা বিজলী মেট্যা গোয়াল ঘরে গেলে দেখতে পান, গোয়ালঘর শূন্য। তাঁর প্রিয় গরুগুলি নেই। আর সেই দৃশ্য দেখার পর রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়ে বিজলী। একপ্রকার কাঁদতে কাঁদতে মহিষাদল থানায় এসে গরু চুরির অভিযোগ জানিয়ে যান। মহিষাদল থানা অভিযোগ পেয়ে গরু চুরির তদন্ত নামে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মহিষাদল থানার পুলিশ চোরকে গ্রেফতার করে।
পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দীতে ধৃত বলে, গরুগুলিকে পাঁশকুড়ায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তদন্তে নেমে মহিষাদল থানার পুলিশ গরু চোরকে ধরতে পারলেও চুরির মাল অর্থাৎ গরুগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গরু চোর ধরা পড়েছে বলে ওই গৃহস্থ থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু গৃহস্থের চুরি হওয়া তিনটি জার্সি গাভীকে এখনও খুঁজে দিতে পারেনি প্রশাসন। এই নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
বিজলী মেট্যা বলেন, “প্রশাসন যেন তাঁর কন্যাসম তিনটি গাভীকে খুঁজে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তাঁর পরিবারের সবাই খুব দুঃখের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।” তাঁর দাবি, আসামী যখন পুলিশ হেফাজতে আছে এবং সে গরু বিক্রি করেছে বলে স্বীকার করেছে, তা হলে গরুগুলি কোথায় আছে তা খুঁজে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে প্রশাসনকেই।
আরও পড়ুন- মৃত’ সন্তান! ২ বছর পর মায়ের কোলে ফিরল সেই নবজাতক, ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
অন্যদিকে, মহিষাদল থানা সূত্রে জানা যায়, গরু চুরির ঘটনায় কিনারা করতে গিয়েও চুরির মাল উদ্ধার হচ্ছে না। এখন সেই গরুগুলি কোথায় আছে কেউ জানে না। ফলে চুরির তদন্ত নেমে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে।






