তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সঙ্গে অনেক গরুকে গাদাগাদি করে ট্রাকে তুলে তা দীর্ঘ সড়ক পথ ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকে পুলিশের নজর এড়াতে গরু বোঝাই করার পর ট্রাক ত্রিপল দিয়ে মুড়ে দেয়। তার ভেতর গরু লাফালাফি করলে বা ডাকাডাকি করলে ধরা পড়ে যাবার আশঙ্কা থাকে। তাই গরুগুলিকে নিস্তেজ করে রাখতে তাদের ইনজেকশন দেয় পাচারকারীরা। এর ফলে গরুগুলি ডাকাডাকি বা লাফালাফি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সেজন্যই তাদের ইনজেকশন দেয় পাচারকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'অভিযুক্তের বাড়িতে আপনার দলিল!' এবার দিলীপ ঘোষকে নিশানা খোদ মমতার! তুঙ্গে জল্পনা
গত সপ্তাহে মেমারি থানার পুলিশ বিহার থেকে আসা তিনটি গরু বোঝাই লরি আটক করে। তিনটি লরি থেকে মোট ৭৮টি গরু উদ্ধার হয়। সেগুলিকে পুলিশের হেফাজতেই রাখা হয়। তিন লরিচালককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। উদ্ধারের পর থেকেই গরু নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পুলিশকে। বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিড়ম্বনা বাড়ে।
আরও পড়ুন: বাড়ির বাইরে জমায়েত নিষেধ, সিবিআই না হলেও হাই কোর্টে বড় 'জয়' শুভেন্দু অধিকারীর
জানা গিয়েছে, পাচারের সময় গরুকে বিশেষ ইঞ্জেকশন দেয় পাচারকারীরা। ওই ইঞ্জেকশনের প্রভাবে গরু নিস্তেজ হয়ে থাকে। বেশি নড়াচড়া করে না। ফলে পরিবহণ সহজ হয়। বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান, অসুস্থ গরুগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় সঙ্গে সঙ্গে। সরকারি পশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা এসে দেখে গিয়েছেন। ওষুধ, ইঞ্জেকশন দিতে বলেছেন। তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সেগুলি ভালই রয়েছে।