আরও পড়ুন : কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে রাশ টানতে সচেতনতা ও সতর্কতা ডায়মন্ড হারবারে
নতুন বছরের শুরু থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। তখন থেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন বর্ধমান মেডিকেলের চিকিৎসক নার্সরা। এদিন পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের তিরিশ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে সাতজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তের সংখ্যায় চিকিৎসকদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন নার্সরা। এ দিন পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ জন নার্স করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বর্ধমানে কারখানা গড়ে তৈরি হচ্ছিল কোটি কোটি টাকার হেরোইন! গ্রেফতার ৬
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলায় ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা একশো পার হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের অনেক কর্মী আধিকারিকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সরা এভাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ জেলার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল বর্ধমান মেডিক্যালই। সবচেয়ে বেশি রোগী এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। তাই চিকিৎসক নার্সদের গ্লাভস, মাস্ক, পিপিই-সহ সবরকম সাবধানতা বজায় রেখে কাজ করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন : বিধায়কের পদক্ষেপে জটিল অস্ত্রোপচার সুষ্ঠুভাবে, খুদে হাতের ফুলের তোড়ায় কৃতজ্ঞতা
বর্ধমান মেডিক্যালের মেডিসিন, নিউরোলজি, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি রোগ, চক্ষু, মেডিসিন ও অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই সব বিভাগের বেশ কয়েকজন নার্সও করোনা আক্রান্ত। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁরাও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বিভাগে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পর্যন্ত যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যেই তাঁরা কাজে ফিরবেন। তাই অযথা রোগী বা তার আত্মীয় পরিজনদের চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। হাসপাতালে সব পরিষেবা চালু রয়েছে। নিয়মিত অস্ত্রোপচারও হচ্ছে।