TRENDING:

স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ! ২ প্রতিবেশীকে নৃশংসভাবে খু*ন, পুরুলিয়া জোড়া হ*ত্যাকাণ্ডে দোষীর সাজা ঘোষণা করল আদালত

Last Updated:

Purulia Double Murder: ২০২৩ সালের ১০ মে সন্ধ্যায় মন্টু ও সুরজের মধ্যে বচসা বাঁধে। পরবর্তীতে সেটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নেয়। বিবাদের মাঝেই মন্টু ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুরজের উপর চড়াও হন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পুরুলিয়া, শান্তনু দাসঃ পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় দোষীর সাজা ঘোষণা করল রঘুনাথপুর মহকুমা আদালত। ২০২৩ সালের ১০ মে রঘুনাথপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁকড়া পাড়ার বাসিন্দা মন্টু বাউরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিবেশী দুই কিশোর সুরজ বাউরি ও প্রতীক বাউরিকে নৃশংসভাবে খুন করেছিলেন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় দোষী সাব্যস্ত মন্টুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করলেন।
জোড়া খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্তের সাজা ঘোষণা
জোড়া খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্তের সাজা ঘোষণা
advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনমজুরের কাজ করা মন্টু বাউরির সন্দেহ হয়, তাঁর স্ত্রী প্রতিবেশী কিশোর সুরজ বাউরির (১৬) সঙ্গে ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক’ রেখেছে। সেই সন্দেহ থেকেই মন্টুর মনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। ২০২৩ সালের ১০ মে সন্ধ্যায় মন্টু ও সুরজের মধ্যে বচসা বাঁধে। পরবর্তীতে সেটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নেয়। বিবাদের মাঝেই মন্টু ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুরজের উপর চড়াও হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন সুরজের বাবা বাপি বাউরি ও দাদা প্রতীক বাউরি (১৮)। তাঁদের উপরেও হামলা চালায় মন্টু। ঘটনায় সুরজ ও প্রতীকের মৃত্যু হয়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ সাংসদ হিসেবে একের পর এক কাজ! পান্ডুয়ার স্কুলে কমিউনিটি টয়লেটের উদ্বোধন করলেন রচনা

এরপর মন্টুকে গ্রেফতার করা হয় ও জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি জেলেই ছিলেন। এদিকে ওই বছরের ১১ অক্টোবর মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন হয় এবং ১৩ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রায় এক বছর ধরে চলে বিচারপ্রক্রিয়া। ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এই মামলায় মোট ২৫ জন সাক্ষ্য দেন, যাদের প্রত্যেকের বয়ানই মন্টুর বিরুদ্ধে গিয়েছিল।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সরকারি আইনজীবী প্রবীর তেওয়ারি জানান, মামলাটির তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। দোষী মন্টু একাধিকবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সুরজের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এমন নৃশংস ঘটনার পর দোষীর শরীরে সুরজের রক্ত লেগেছিল। আদালত সব তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে দোষী সাব্যস্ত করেছে। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই সাজা ঘোষণা করে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালত একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবার ও এলাকার সাধারণ মানুষ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ! ২ প্রতিবেশীকে নৃশংসভাবে খু*ন, পুরুলিয়া জোড়া হ*ত্যাকাণ্ডে দোষীর সাজা ঘোষণা করল আদালত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল