সোমবার বর্ধমান শহরে ১৮৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার আগেরদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ফের ২৭৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার থেকে এই শহরে বিধি নিষেধ আরো কড়াকড়ি করা হয়েছে। এদিন থেকে টানা সাতদিন শহর ও শহর লাগোয়া এলাকার সমস্ত চায়ের দোকান, রাস্তার পাশের হোটেল, ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দোকান বাজার খোলা রাখার সময়সীমাও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতি ও রবিবার শহরের সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সংক্রমণের লাগাম টানা না গেলে বিধি নিষেধ আরও কড়াকড়ি করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তায় দাঁড়িয়ে মূর্তিমান আতঙ্ক, ভয়ে ঘরবন্দি চন্দ্রকোণা! কী হচ্ছে ওই এলাকায়?
কাটোয়া পুরসভা এলাকাতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। মেমারি পৌরসভা এলাকায় চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দাঁইহাট পৌরসভা এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দুজন। এছাড়া গুসকরা ও কালনা পৌরসভা এলাকায় একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যোগ হল ফিল্টার, করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে বাদ মোদির ছবি! তবে...
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শহর এলাকাগুলিতে বাসিন্দাদের সচেতন করতে নিয়মিত মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। পুলিশ পৌরসভা প্রশাসন একসঙ্গে প্রচার চালাচ্ছে। বাসিন্দারা যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন তা নিশ্চিত করতে বাড়তি তৎপর রয়েছে পুলিশ। বাজার এলাকাগুলিতে ভিড় কমাতে টহল দেওয়া হচ্ছে। তবুও বাসিন্দারা সচেতন না হওয়ায় করোনার সংক্রমণ ক্রমশ সহ ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।