এমনিতেই চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। সেই সময় করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে বর্ধমান শহরের সচেতন বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে বাসিন্দাদের অনেকেই এখনও এ ব্যাপারে ততটা সতর্ক নন। শনিবার ইংরেজি বছরের প্রথম দিনে বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্য থেকে শুরু করে কৃষ্ণসার পার্ক সহ পিকনিক স্পট গুলিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেখানে অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রেও অনেকেরই সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে। এসব কারণে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৮ ডিসেম্বর ৩৮২, ১ জানুয়ারি ২৩৯৮! ৫ দিনে ৬ গুণ বৃদ্ধি কলকাতার কোভিড-গ্রাফে! কেন?
রবিবার বর্ধমান শহরের বাজারগুলোতেও থিকথিকে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। লকডাউন হতে পারে এই আশঙ্কায় অনেকেই এদিন সবজি, মাছের বাজার, মুদিখানা দোকানে ভিড় করেছেন। প্রতিদিনের এই ভিড় থেকে এই শহরে ফের গোষ্ঠী সংক্রমণের আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, অনেকেরই এখনও করোনার দুটি ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলায় বিধিনিষেধ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত? সব নজর রবিবার দুপুর তিনটেয়...
তাছাড়া করোনার দুটি ভ্যাকসিন নিলেও তার দেহে যে সংক্রমণ হবে না এমন কোনও কথা নেই। বাইরে যারা বের হচ্ছেন তাদের মধ্য দিয়ে ঘরের বয়স্ক বা শিশুরা আক্রান্ত হতে পারেন। ১৮ বছরের নিচে এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরুই হয়নি। তাই করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বাসিন্দাদের এখন অনেক বেশি সচেতন থাকা জরুরি। উন্নত মানের মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বিশেষ প্রয়োজন। সেইসঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া উচিত।