কিন্তু দুর্ঘটনার পর এতগুলো দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ওই গ্রামেরই জয়নাল পাখিরা ও জহুর আলির খোঁজ মিললেও মৃতদেহ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের পরিবার পরিজনদের।
আরও পড়ুনঃ অন্য এক পর্বত আরোহী কে বাঁচাতে গিয়ে নিজে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে পড়েন পর্বতকন্যা পিয়ালী বসাক
দুটি মৃতদেহকে ঘিরে জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে দুই পরিবারকে। তাঁদের দাবি, ওড়িশার প্রশাসন জানিয়েছে মৃতদেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে।সেই অনুযায়ী জহর আলির দেহ মোবাইলে ছবির মাধ্যমে শনাক্ত করে বাড়ির লোক।কিন্তু আনতে গেলে জানতে পারেন তাঁর দেহ বিহারের এক পরিবার দাবি করেন। এরফলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় জহুর আলির পরিবারকে। সেই কারনেই জহুর আলির ভাই ও বাবাকে ওড়িশায় ডি এন এ টেস্ট করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জানানো হয় ডি এন এ টেস্ট হওয়ার পরই দেওয়া হবে মৃতদেহ।
advertisement
অপরদিকে জয়নাল পাখিরার দেহের পোশাক দেখে চিহ্নিত করেন তাঁর পরিবার যে এটি তাঁদের মৃতদেহ। তবে, জয়নাল পাখিরার দেহ মুন্ডুহীন থাকায় ডি এন এ টেস্ট করার পরই দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় দেহগুলি যেভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে, সেদিক থেকে মুন্ডুহীন দেহ চেনা বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারের। যার ফলে দেহ শনাক্ত করতে বারবার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মৃতদের পরিবারকে।
দুর্ঘটনার এমন মৃত্যুর ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। দুই পরিবারের দাবি তাঁদের মৃত দেহ দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।