বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরে এই সেতুর উদ্বোধন হয়। কলকাতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের কারণে হাড়োয়ার এই সেতু জনজীবনে এক বড় ভরসা। বিশেষত হাড়োয়ার পীর গোরাচাঁদের মাজারে প্রত্যেক বছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার-হাজার ভক্তের আগমন ঘটে। এই ধর্মীয় স্থান ঘিরে ভিড়ের চাপের মাঝেই নতুন করে জলপ্রকল্পের পাইপলাইন বসানো ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুলে ঢোকার মুখে ওটা কে? গেট খুলতেই যা দেখা গেল…! চোখ কপালে শিক্ষকদের
সম্প্রতি পিএইচই (PHE) দফতরের উদ্যোগে সেতুর দুই ধারে ফুটপাত বরাবর পানীয় জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। তবে এই কাজ শুরু হতেই এলাকাবাসীর একাংশের প্রতিবাদে তা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, সেতুর ওপর পাইপ বসালে তার ওজনের কারণে সেতুর স্থায়িত্ব প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। সেই সঙ্গেই এতে চলাচলেও অসুবিধা হবে বলে আশঙ্কা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাবাসীর দাবি, সেতুর ওপর দিয়ে নয়, নদীর তলা দিয়ে বা নদীর ওপর দিয়ে আলাদাভাবে পাইপলাইন নিয়ে যাওয়া হোক। এই বিকল্প পরিকল্পনার মাধ্যমে সেতুর নিরাপত্তা ও জনসাধারণের স্বাচ্ছন্দ্য- দু’য়েরই সমাধান আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা। জনস্বার্থ এবং পরিকাঠামোগত পরিকল্পনার মধ্যে সুষ্ঠু সমাধান কীভাবে বেরিয়ে আসে সেটাই এখন দেখার।