মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিউ কোলড়া জাতীয় সড়ক থেকে বাদামতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জলমগ্ন। মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিশু, উদ্যান দক্ষিণ জলা, তেতুলতলা সহ বিভিন্ন এলাকার জনমগ্ন। জল জমে দারুণ সমস্যায় দক্ষিণ জলা এলাকার মানুষ। সর্বত্র প্রায় এক হাঁটু সমান জল। মানুষের বাড়িতে জমে থাকছে জল। অন্যদিকে জলের তলায় টিউবওয়েল।
advertisement
স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। গত প্রায় ১২-১৪ বছর আগে জল জমা সূত্রপাত। সেই থেকে বছর বছর ক্রমেই বেড়েছে জমা জলের পরিমাণ। স্থানীয়দের কথায় জানা যায়, নিকাশি বহাল না থাকার ফলে বিভিন্ন কলকারখানার জল এখানে এসে জমা হচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৬ টি স্কুল রয়েছে। জমা জলের কারণে রামকৃষ্ণ বিদ্যালয় ইতি মধ্যেই সপ্তাহব্যাপী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জমা জলে স্থানীয় মানুষের যেমন দুর্ভোগ বাড়ে তেমনি রুটি-রুজির উপর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বাড়িতে ছাত্রছাত্রী পড়ান তাদের বাধ্য হয়ে এই বর্ষায় ছুটি দিতে হয়। এদের মধ্যে অনেকেই নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে প্রাইভেট টিউশন করে থাকে। কোনও কারনে টিউশন বন্ধ হলে অর্থনৈতিক সমস্যা দারুন ভাবে দেখা দেয়।
মশিলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমা জল সমস্যার অন্যতম কারণ মজে যাওয়া খাল। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মাশিলা খাল। সেই খাল মজে যাচ্ছে, অবৈধ নির্মাণের ফলে ক্রমশ খাল সরু হচ্ছে। সরস্বতী নদী বাঁচাও কমিটির মত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খাল ও নদী সংস্করণে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছে। সেই দাবি মান্যতা দিয়ে কাজ হলে মানুষকে এই দুর্ভোগে পড়তে হতো না বলেই জানাচ্ছেন সরস্বতী নদী বাঁচাও কমিটির অন্যতম সদস্য মোহন মাঝি।
এ প্রসঙ্গে মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ গোড়াই খাঁন জানান, এই এলাকায় মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথমত নিউ করোলা থেকে বাদামতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা উঁচু করে পিচ রাস্তা তৈরি হবে। অন্যদিকে নিকাশ বহাল রাখার কাজও শুরু হবে।