কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার পর থেকেই সমস্যার শুরু। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলছে। নির্দল ও তৃণমূল কাউন্সিলররা দল ছাড়ায় নির্বাচিত পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালকে অপসারিত হতে হয়েছিল আগেই। পুরপ্রধানের অপসারণের পর নির্দল কাউন্সিলরদের সমর্থনে বোর্ড গঠনের দাবি জানায় কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস বোর্ড গড়ার আগেই তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়াড়কে অস্থায়ী পুরপ্রধান হিসাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেয় রাজ্য সরকার।
advertisement
ঘটনায় প্রবল রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয় ঝালদায়। এমনকি, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঝালদা পুরসভার বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করতেও বাধ্য হয় প্রশাসন। শেষে ঘটনার নিষ্পত্তি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেসের নেপাল মাহাতরা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার হাতে চড় খেয়েছিলেন, এবার সেই সাগরের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ
অবশেষে, গত ২ ডিসেম্বর তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়াড়কে অস্থায়ী পুরপ্রধান হিসাবে নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার দিয়েছিল, তা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ১৬ জানুয়ারি সোমবার, সকাল ১১টায় নতুন করে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: দিলীপের দেদার প্রশংসা কুণালের, বললেন, 'পারফরম্যান্স ভাল, প্রমোশন পাওয়া উচিত'
সেই মতো আজ, সোমবার সকালে ঝালদা পুরসভায় নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিনের ভোটাভুটিতে পুরসভার ১২ টি আসনের মধ্যে ৬ কংগ্রেস ও ১ নির্দল কাউন্সিলরের তরফে মোট ৭ টি ভোট পান কংগ্রেসের শীলা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের ৫ জন এদিন ব্যালট নিলেও, তা জমা দেননি বলে সূত্রের খবর।
কানা ঘুঁষো খবর, এর পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবছে তৃণমূল।