কাপড় বুনতে বাড়ির পুরুষদের সাহায্য করতে মহিলাদের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যেত। কখনও চরকায় সুতো জড়ানো,আবার কখনও বাড়ির পুরুষেরা বাড়ির বাইরে কোনওকাজে গেলে সেই কাজে বিরতি না দিয়ে চালিয়ে যেতেন কাপড় বুনতে। কিন্তু এখন সেই সমস্ত এলাকায় গেলেই যেন দেখা যায় অনেকাংশে কমে গিয়েছে মহিলাদের চরকায় সুতো জড়ানোর কাজ, রেশমের গন্ধ, ঠক ঠক শব্দ। ধুকছে গোটা এলাকা। এ পেশা ছেড়ে অনেকে বেছে নিচ্ছে অন্য পেশায।
advertisement
কেউবা খুলেছে জুতোর দোকান, কেউ বা আবার সবজির ব্যবসায় মন দিয়েছে, কেউ আবার বিভিন্ন দোকানে যোগানদার এর কাজে লেগে পড়েছে। কেন এই দুর্দশাএই গ্রামগুলিতে?এর কারণ খুঁজতে আমরা কথা বলেছিলাম এলাকার তন্তুবায়সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে। তারা জানাচ্ছেন একটা কাপড় বুনতে প্রায় দুই দিন সময় লাগে সঙ্গে একজনকে সাহায্য করতে হয় তাই যে পরিমাণ পরিশ্রম করা হয় সে পরিমাণে তারা মজুরি পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বলুন তো, মদ ডিপ ফ্রিজে রাখলেও জমে যায় না কেন? জেনে নিন কারণ
যার ফলে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা এই পেশাকে গ্রহণ না করে তারা অন্য পেশায় আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে কয়েকটি এলাকায় বন্ধ হয়ে এই গিয়েছে কিছু সমবায় সমিতি। আবার কেউ কেউ বাড়িতে বাপ ঠাকুরদার আমলের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে এখনও তাঁত শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
সৌভিক রায়