এরপরই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হাতওয়ারা ক্যাম্পাসের ক্যান্সার বিভাগে। সেখানেই জেনারেল সার্জারি ইউনিট ২-এর চিকিৎসক পবন মণ্ডল চিকিৎসা শুরু করেন। সিদ্ধান্ত হয় গীতাদেবীর অস্ত্রোপচার হবে। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর গত ১৩ আগস্ট এই অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: পুজোয় প্রচুর অর্ডার, তবুও হাসি নেই বাটিক শিল্পীদের!
advertisement
এই বিষয়ে চিকিৎসক পবন মণ্ডল বলেন, এই অপারেশন তাঁদের কাছে বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। গলব্লাডারের সঙ্গে লেগে থাকা প্রায় ৫০০ গ্রাম ওজনের লিভারের অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। বর্তমানে ওই রোগী অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। এই বিষয়ে রোগী গীতা পরামানিক বলেন, ডাক্তারবাবু আমার কাছে ভগবান। বাঁচার কোনও আশাই আর ছিল না। কিন্তু উনি বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
গীতা দেবীর ছেলে সুশীল চন্দ্র পরামানিক পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাঁর পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে মায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং অস্ত্রোপচার করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যে পরিষেবা পেলেন তার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই জটিল অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন ইউনিট–২-এর চিকিৎসক পবন মণ্ডল, মনিরুল ইসলাম, কর্থিক এস এবং সৌপর্ন মল্লিক। অ্যানাসথেসিয়ার দায়িত্বে ছিলেন সন্দেশ রাঠোর এবং নার্সিং স্টাফ হিসেবে সহায়তা করেন অষ্টমী মাহাতো।