এ বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দারা বলেন , নলকূপ বসানোর জন্য যখন বোরিং করা হচ্ছিল তখনই এই ঘটনা ঘটে। বহু চেষ্টা করেও এখানে জলের কল বসানো সম্ভব হয়নি। প্রায় দেড়শ ফুট পাইপ পোতা রয়েছে এই জায়গায়। বিগত তিন বছরে তারা কখনও দেখেননি এখানে জল বন্ধ হতে। এ যেন তাদের কাছে ভগবানের আশীর্বাদ। রুক্ষ এই জেলাতে যেখানে সকলকেই জলকষ্টে ভুগতে হয় সেখানে তারা স্বস্তিতে দিন কাটাতে পারেন। এ বিষয়ে সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মৃণাল মণ্ডল ও বিশ্বজিৎ বেরা বলেন , ওই জায়গার ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এই জল অনবরত বেরিয়ে চলেছে। এটা কোন আশ্চর্য ঘটনা নয়। আর্টেজিও কূপের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
advertisement
দুটো অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্যে যদি প্রবেশ্য শিলাস্তর অর্ধচন্দ্রকারে অবস্থান করে, এবং এই আবদ্ধ শিলাস্তরের উভয় পার্শ্ব যদি ভূ-পৃষ্ঠের সঙ্গে উন্মুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের জল দু’পাশের উন্মুক্ত প্রবেশ্য জলবাহী এবং জলধারণকারী শিলাস্তরে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে প্রবেশ্য শিলাস্তরে জলজ চাপ বায়ুমন্ডলীয় চাপের থেকে বেশি হওয়ায় অপ্রবেশ্য শিলাস্তরে কোনও দুর্বল স্থান বরাবর জল বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়।
আরও পড়ুন-ঘনিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়…! ৮ রাজ্য কাঁপবে তুমুল ভারী ঝড়-বৃষ্টিতে! ধুলোঝড়ের তাণ্ডব, কী হবে বাংলায়? জানিয়ে দিল IMD
প্রসঙ্গত , হেঁসলা গ্রাম পঞ্চায়েত ২০২২-’২৩ সালে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয় গভীর নলকূপ নির্মাণের জন্য। এরপর বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়। ওই এলাকায় আরও কয়েকটি নলকূপ রয়েছে। জলের স্তর পেতে অন্তত ৬০০ থেকে ৭০০ ফুট খুঁড়তে হয়। কিন্তু এই নলকূপ খুঁড়তে গিয়েই ঘটে এই ঘটনা। আর তাতেই স্বস্তিতে রয়েছে গোটা গ্রাম।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি