TRENDING:

Nadia News: জন্ম হোক বা মৃত্যু, হাসপাতাল থেকে শংসাপত্র পেতে নাজেহাল শান্তিপুরবাসী

Last Updated:

ভোলানাথ বর্মন নিজের তরতাজা ছেলেকে হারিয়েছেন এই হাসপাতালে। তারপর এক মাস কেটে গেলেও আজও মেলেনি সার্টিফিকেট

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নদিয়া: আমজনতার অনেকেই সরকারি কর্মচারীদের ব্যঙ্গ করে বলেন- ‘আসি যাই, মাইনা পাই’। তবে এবার খোদ সরকারি হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতির জেরে চরম বিপাকে পড়েছে শান্তিপুরের মানুষ। সুপার স্পেশালিটি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের অভিযোগ, সুপারের ঘরের পাশে অফিস হওয়া সত্ত্বেও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১০ টা তো দূরে থাক ১১ টা এমনকি ১২ টাতেও কর্মচারীরা এসে পৌঁছন। সে কাছে বা দূরে যেখানেই বাড়ি হোক না কেন।
চেয়ার-টেবিল সমস্তই ফাঁকা রয়েছে পড়ে আসতে পারেননি এখনও কর্মচারীরা
চেয়ার-টেবিল সমস্তই ফাঁকা রয়েছে পড়ে আসতে পারেননি এখনও কর্মচারীরা
advertisement

আরও পড়ুন: রাজবংশী ভাষার শব্দকোষ পরিমার্জিত হল, আয়োজনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

শান্তিপুরের শহরের শেষ প্রান্ত কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ৫০-১০০ টাকা টোটো ভাড়া দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেও মিলছে না জন্ম কিংবা মৃত্যুর সার্টিফিকেট। দিনের পর দিন ঘুরতে ঘুরতে পরিজনরা নাজেহাল। এদিন ঘড়িতে তখন পৌনে বারোটা বাজে, অফিসে ১১ টি চেয়ার থাকলেও মাত্র তিনজনকে সেখানে বসে থাকতে দেখা যায়। ১১ টার সময় অফিস খোলার পর জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে আসা পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন আজও ফাঁকা হাতেই ফিরতে হবে। কারণ যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে আসছেন না।

advertisement

জন্ম এবং মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়ার মূল দায়িত্বে থাকা রাজা বিশ্বাস বলেন, তিনি আগেই এসেছিলেন। যদিও বাইরে প্রতীক্ষারত কেউ তাঁকে ১১ টার আগে ঢুকতে দেখেননি বলে দাবি করেন। অ্যাকাউন্ট দেখভাল করা অনল প্রমাণিক জানান শংসাপত্র দেওয়া তাঁর কাজ নয়, তবে দেরিতে আসা প্রসঙ্গে বলেন শরীর খারাপ।অপর এক কর্মচারী বীপ্র সরকার দেরি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ট্রেন লেটের কথা জানান। শান্তিপুর লঙ্কাপাড়া থেকে আগত রোজিনা খাতুন এই হাসপাতালেই দুমাস আগে সন্তান প্রসব করলেও আজও তিনি সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট পাননি।

advertisement

View More

ভোলানাথ বর্মন নিজের তরতাজা ছেলেকে হারিয়েছেন এই হাসপাতালে। তারপর এক মাস কেটে গেলেও আজও মেলেনি সার্টিফিকেট। সগুনা থেকে আগত চাঁদি খাতুন জানান ৭০ টাকা টোটো ভাড়া দিয়ে আজ ১০ দিন ঘুরছেন। ৭০০ টাকা ভাড়া বাবদ খরচ হয়ে গিয়েছে। কাজ কামাই করে এলেও আজও মেলেনি তার নাতির জন্ম সার্টিফিকেট। ওই এলাকারই বাসিন্দা সাকির আলি মণ্ডল বলেন, তিনিও গত দেড় মাসে ছয়বার এসেছেন সন্তানের জন্ম সার্টিফিকেট নিতে। ছেলে বড় হয়ে গেলেও এখনও পাননী সার্টিফিকেট।

advertisement

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এরকমই প্রায় ১৫ জন জন্ম এবং মৃত্যু সার্টিফিকেট নিতে আসা মানুষজন সুপার তারক বর্মনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেন শুক্রবার। সুপার ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। কারা কোন সময় কাজে এসেছেন এবং কে কে আসেননি সে বিষয়েও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডেকে পাঠাবেন বলেই জানিয়েছেন। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী কলকাতায় কাজে থাকলেও বিষয়টি শুনেছেন এবং অবিলম্বে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সুপারের সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, কোনভাবেই মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অরণ্যের নাম গণপুর, কলকাতার খুব কাছে মাত্র ৫০ টাকা খরচে গভীর জঙ্গলে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন!
আরও দেখুন

মৈনাক দেবনাথ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: জন্ম হোক বা মৃত্যু, হাসপাতাল থেকে শংসাপত্র পেতে নাজেহাল শান্তিপুরবাসী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল