TRENDING:

North 24 Parganas News:ইছামতির চর দখল করে গজিয়ে উঠছে আবাসন নিন্দায় সরব পরিবেশপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ

Last Updated:

শুধু মানুষের নিরাপত্তাই নয়, পরিবেশের কথা মাথায় না রেখেই নদীর চর দখল করে এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জুলফিকার মোল্যা , উত্তর ২৪ পরগণা: ইছামতির চর দখল করে গজিয়ে উঠছে আবাসন নিন্দায় সরব পরিবেশপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টাকি আর এর পাশেই আছে আরো একটি সীমান্ত শহর বসিরহাট। আর সেখানেই ইছামতি নদীর চর দখল করে একের পর এক গজিয়ে উঠছে বিলাসবহুল আবাসনের পাশাপাশি হোটেল-রিসর্ট যা নিয়ে স্বরব হোসেন পরিবেশপ্রেমীরা।
advertisement

অভিযোগ, টাকি রাজবাড়ি ঘাট সংলগ্ন একাধিক অবৈধ হোটেল-রিসর্ট গজিয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে কীভাবে ইছামতি নদীর গা ঘেঁষে এইভাবে বিলাসবহুল হোটেলের অনুমতি মিলল? নিয়ম অনুযায়ী নদীতে জোয়ারের জল যতদূর পৌঁছায়, সেখান থেকে অন্তত ৯ ফুট দূরে নির্মাণ করার কথা। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নদীর গর্ভে প্রায় তৈরি হয়েছে হোটেলগুলি। নদীর জোয়ারের জল প্রতিদিন ধাক্কা মারছে হোটেলের দেয়ালে। ইতিমধ্যেই একটি হোটেলের একাংশ হেলে পড়েছে, যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।

advertisement

পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি এই নির্মাণে টাকি পুরসভা আইনের একাধিক ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। শুধু মানুষের নিরাপত্তাই নয়, পরিবেশের কথা মাথায় না রেখেই নদীর চর দখল করে এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ নির্মাণের ফলে টাকির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পর্যটকরা ইছামতির প্রকৃত সৌন্দর্য দেখার সুযোগও হারাচ্ছেন। নদীর পাড়ের খোলা বাতাস এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ হারিয়ে যাচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে।

advertisement

View More

গত মাসে টাকিতে ঘুরতে এসে পরিস্থিতি দেখে আইনজীবী তন্ময় বসু রাজ্যের পরিবেশ দফতর, সেচ দফতর, টাকি পৌরসভা, বসিরহাট মহকুমা শাসক সহ একাধিক দফতর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ও হাসনাবাদ থানাতেও। আইনজীবীর দাবি, তাজপুরের মতোই পরিবেশ ও পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে টাকিতেও এই অবৈধ হোটেল-রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিক আদালত। এতে শুধু ইছামতি নদী রক্ষাই নয়, হাজার হাজার পর্যটকের জীবন রক্ষার পাশাপাশি টাকি ও ইছামতির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও ফিরে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
North 24 Parganas News:ইছামতির চর দখল করে গজিয়ে উঠছে আবাসন নিন্দায় সরব পরিবেশপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল