আরও পড়ুন: শিয়ালদহের মাতৃভূমি লোকালে বিরাট পরিবর্তন! শুধু মহিলারা নন, এবার উঠতে পারবেন পুরুষরাও
বিদ্যালয়টিকে যেন এক নতুন রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে। একটা শিল্পমণ্ডিত শিক্ষাকেন্দ্র, যেখানে শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়ক হবে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। চিত্রশিল্পীদের দক্ষ হাতে বিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণায় উঠে আসছে রূপকথার চরিত্র, প্রাকৃতিক দৃশ্য সহ নানান শিক্ষামূলক বার্তা। এসব ছবি শুধু বিদ্যালয়কে সৌন্দর্যমণ্ডিত করছে না, সেইসঙ্গে শিশুমনে তৈরি করছে শেখার প্রতি আকর্ষণ এবং কল্পনাশক্তির বিকাশের সুযোগ।
advertisement
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপম সাধু বলেন, “ভালো ছবি মানুষের মনের বিকাশ ঘটায় এবং সেটা শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমরা এমন কিছু ছবি আঁকার চেষ্টা করছি, যা শিশুদের মনকে আনন্দ দেবে এবং তাদের বিদ্যালয়ের প্রতি টান বাড়াবে।” বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই অভিভাবকদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। তারা মনে করছেন, এই ধরনের পরিবেশে পড়াশোনা করলে শিশুরা আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে পড়াশোনায়।
অনেক অভিভাবকই বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত চেহারা দেখে নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, সরকারি বিদ্যালয়ও ইচ্ছা থাকলে নানা সৃজনশীল পন্থায় শিক্ষার মান উন্নত করতে পারে। বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের এই প্রচেষ্টা শুধু একটি বিদ্যালয় নয়, গোটা অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী