আরও পড়ুন: রাজারহাটে গড়ে উঠবে ‘স্নায়ুতীর্থ’, নার্ভের চিকিৎসায় আর বাইরে যেতে হবে না
কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) উদ্যোগে এই ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১,৭৬৩ কোটি টাকা। এই জল শোধনাগারে প্রতিদিন ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন জল পরিশোধন করা যাবে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এটিই হল বৃহত্তম জল শোধনাগার। সাতটি পুরসভা এবং ছ’টি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ১৭ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন এই প্রকল্পের সাহায্যে। উত্তরপাড়ার এই নতুন জল শোধনাগার টালার থেকে ৬ গুণ বেশি শক্তিশালী। এই জল শোধনাগার তৈরি হয়েছে প্রায় ১০ একর জমির উপর। এই জমির মালিকানা প্রাথমিকভাবে ছিল কলকাতা পুরনিগমের হাতে। পরে এটির মালিকানা হস্তান্তর করা হয় কেএমডিএকে।
advertisement
একটা সময় কথা ছিল এই জমিতে তৈরি করা হবে ফিল্ম সিটি। শেষমেষ এই জমিতে তৈরি হয়েছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এই ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নির্মাণ শুরু হয় ২০১৯ সালে। মাঝে দেড় বছর করোনার জন্য কাজ বন্ধ ছিল। অবশেষে পাঁচ বছর পর উদ্বোধন হল। ৬০টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক করা হয়েছে। মাটির নিচে রয়েছে সাতটি রিজার্ভার। এছাড়াও একটি ভাসমান জেটি তৈরি করা হয়েছে নদীর উপর। এখনও পর্যন্ত হুগলির শহরতলি ও গ্রামের মানুষজন বোরিং ওয়াটার খেতেই অভ্যস্ত। তাঁদের মনে একটু সংশয় রয়েছে এই ধরনের সারফেস ওয়াটার কতটা শরীরের উপযোগী হবে! এই বিষয়ে ওয়াটার প্ল্যান্টের ইঞ্জিনিয়াররা জানান, ভূগর্ভস্থ জলের থেকে অনেক বেশি খরচ করে উৎপাদন করতে হয় সারফেস ওয়াটার থেকে পরিশোধিত পানীয় জল। এই জল অনেক বেশি আর্সেনিক মুক্ত। যার ফলে মাটির নিচের জলের মধ্যে কিছু অশোধিত ও আর্সেনিকের মতন ভয়াবহ বিষের সমস্যা থাকে। তবে সারফেস ওয়াটার থেকে পরিশোধিত জল তৈরি করাতে এই ধরনের কোনওরকম সমস্যাই হবে না। এই জল শরীরের পক্ষে অনেক বেশি উপযুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
উত্তরপাড়া-কোতরং, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি ও ডানকুনি মোট সাতটি পুরসভা এবং কানাইপুর, নবগ্রাম, রঘুনাথপুর, রিষড়া, রাজ্যধরপুর, পিয়ারাপুর মোট ছটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষরা এই জল পাবেন। উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, এটা খুবই গর্বের বিষয় যে উত্তরপাড়ায় এই জল প্রকল্প চালু হল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ এই জল প্রকল্প উদ্বোধন করার জন্য।এরফলে অনেক মানুষের জলের সমস্যার সমাধান হবে। কেএমডিএ-এর ইঞ্জিনিয়াররা যেদিন বলবেন সেদিন থেকে জল সরবরাহ শুরু হবে।
রাহী হালদার





