তাছাড়া মেলার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি অস্থায়ী আস্থানায় ব্যবহৃত হোগলায় অগ্নিনিরোধক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে হোগলার ঘরে আগুন লাগলেও কোনওভাবেই তা ছড়াতে পারবে না।
সুরক্ষার স্বার্থে থাকছে দমকলের সমস্ত প্রস্তুতি। পুজোর সময় কোটালের জেরে সাগরের দু' নম্বর স্নানঘাট ভেঙেছে। ছ'টি স্নানঘাটের মধ্যে প্রায় সবকটি অল্প বিস্তর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীর সিলভার স্যান্ড বোঝাই করে পাড় বাধাইয়ের কাজ চলছে। যাতে কাদা না হয়,পাড়ে বসানো হচ্ছে পেভার ব্লক। ২ নম্বর স্নানঘাটে কর্মরত সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জনিয়ার নির্মলকান্তি নাইয়া বলেন," ঘাটে ভাঙন রোধের কাজ শেষ। যাত্রীদের স্নান করতে যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য সত্তর মিটার জুড়ে জিওব্যাগে সিলভার স্যান্ড ভর্তি করে সিঁড়ি করে দেওয়া হচ্ছে। "
advertisement
আরও পড়ুন : সরোবরের পাশে ফুলের মেলা, আকাশে আতশবাজির খেলা, বর্ধমানে শুরু হল কৃষ্ণসায়র উৎসব
সরকারিভাবে মেলা শুরু ৮ জানুয়ারি থেকে। প্রস্তুতি দেখতে বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগর আসছেন। সাগরে তাঁর রাত্রিবাসের পরিকল্পনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে মেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ লগ্নে। বসে গিয়েছে মেলা জুড়ে ১০০ সিসিটিভি। মুখ্যমন্ত্রী সাগরে পা রেখেই তিনটি স্থায়ী হেলিপ্যাড উদ্বোধন করবেন। হেলিপ্যাড প্রাঙ্গণ থেকেই ভার্চুয়ালি সাগরের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে তিনি যাবেন ভারত সেবাশ্রম। বিকেলে তিনি কপিলমুনির আশ্রম যাবেন। সেখানেও মন্দিরের কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন : খুব তাড়াতাড়ি কার্ডিও ভাসক্যুলার অ্যান্ড থোরাসিক সার্জারি চালু হতে চলেছে বর্ধমান মেডিক্যালে
সরকারিভাবে মেলা শুরু হতে তিনদিন বাকি। ভিন রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের ভিড় এখন থেকেই আসা যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজস্থান,মধ্যপ্রদেশ,ছত্তীসগড় থেকে দলে দলে তীর্থযাত্রীরা প্রতিদিনই নিজ উদ্যোগে সাগরে এসে মোহনায় স্নান সেরে কপিল মুনির মন্দির দর্শন করে ফিরেও যাচ্ছেন অনেকে। উজ্জয়নী থেকে ৬০ জনের দল নিয়ে এসেছেন পুরুষোত্তম পরাশর। বেশিরভাগই মধ্যপ্রদেশের আগর জেলার মানুষ।সবমিলিয়ে সরকারিভাবে মেলা শুরু হতে দেরি থাকলেও ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা।