দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর প্রচলন আজকের না। বহু প্রাচীন। কিন্তু ধীরে ধীরে দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর চল বদলে যায় রংবেরঙের নানান ইলেকট্রিক লাইটে। ঘরে ঘরে বাহারি আলোর শোভায় প্রদীপের আলো ছিল ক্রমশ মুহ্যমান! একটা সময় দীপাবলির সময়ে শহরের পাশাপাশি বাংলার ঘরে ঘরে বাহারি আলোর দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছিল প্রদীপের শিখা। কিন্তু আবারও ধীরে ধীরে প্রদীপের শিখা প্রাণ ফিরে পেয়েছে দীপাবলি উৎসবে।
advertisement
আরও পড়ুন : টানা বর্ষণে রূপ বদলেছে কেলেঘাই! যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ডিঙি… নিয়মিত জল মাপছে সেচ দফতর
প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার এলাকার দক্ষিণ ধলহরা, বেতকল্লা রাউতৌড়ি গ্রামের কুমোরপাড়ায় মাটির প্রদীপ তৈরির ধুম পড়ে যেত। কারণ লক্ষ লক্ষ প্রদীপের অর্ডার আসত খুচরো বাজার থেকে। চলতি বছরও সেই অর্ডার এসেছে। কিন্তু পরপর বৃষ্টির কারণে নাজেহাল কুম্ভকারেরা। বৃষ্টির কারণে মাটির প্রদীপ তৈরি করতে পারছেন না। এ বিষয়ে অদ্বৈত পাল নামে এক কুম্ভকার জানান, শুধু দক্ষিণ ধলহরা গ্রামে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পরই এক থেকে দেড় লক্ষ মাটির প্রদীপ তৈরির অর্ডার আসে। এ বছরও এসেছে। নিজেই প্রতিবছর কুড়ি থেকে বাইশ হাজার মাটির প্রদীপ তৈরি করি। কিন্তু এবছর বৃষ্টি সেই কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নন্দকুমারের বিভিন্ন এলাকার কুম্ভকারেরা এখন মেঘ সরে রোদের অপেক্ষায়। ওয়েদার ভাল হলেই দিনরাত এক করে মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত হবেন কুম্ভকারেরা। কারণ লক্ষ লক্ষ প্রদীপের অর্ডার রয়েছে। সময় মত তৈরি করতে না পারলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। সেই সঙ্গে দীপাবলি উপলক্ষে বাজারে মাটির প্রদীপের যোগান থাকবে না। তাই কুম্ভকারদের মত, আবারও যদি বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে এবার মাটির প্রদীপ ছাড়াই দীপাবলি পালন করতে হবে।