TRENDING:

Clay Lamp Business : 'চারচাকা' স্কুটি নিয়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন এলাকা! এই বাজারে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার টেকনিকটা দেখে রাখুন

Last Updated:

Clay Lamp Business : জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে নারাজ। তাই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই আজ স্বাবলম্বী তিনি। বিশেষ স্কুটি নিয়ে দরজায় দরজায় পৌঁছে যান আনন্দ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালকিতা, পূর্ব বর্ধমান, সায়নী সরকার: জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে নারাজ। তাই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই আজ স্বাবলম্বী তিনি। আর তার এই কাজের সঙ্গী পরিবার ও বিশেষভাবে তৈরি একটি স্কুটি। সেই স্কুটি নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তার তৈরি মাটির প্রদীপ ও ভাঁড় পৌঁছে দেন তিনি। আর এই কাজ করেই পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন আনন্দ। ইচ্ছা থাকলেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা আরও একবার প্রমান করে দিলেন বর্ধমানের এক ব্যক্তি।
advertisement

দীপান্বিতা অমাবস্যা মানেই বাড়িতেই জ্বলবে প্রদীপ। বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক টুনি লাইট সহ নানান সামগ্রী বাজারে এলেও বাজার কমেনি মাটির প্রদীপের। বছরে অন্যান্য সময় প্রদীপের সেরকম চাহিদা না থাকলেও পুজো এলেই বাড়ে ব্যস্ততা। প্রদীপ ছাড়াও মাটির ভাঁড় তৈরি করেন তিনি। বর্ধমানের মালকিতা গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ পন্ডিত। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর সংসার। মাটির প্রদীপ ও ভাঁড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেই চলে সংসার। বিশেষভাবে সক্ষম তিনি। ভাল করে হাঁটতে পারেন না। কিন্তু হার মানেন নি আনন্দ।

advertisement

আরও পড়ুন : বিপর্যয়ের পরে গ্রামে শ্মশানের নিস্তব্ধতা! পলি, বালি ঢুকে ঘরের যাচ্ছেতাই অবস্থা! পরিষ্কার করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন মানুষ

বসে বসে মাটির প্রদীপ ও ভাঁড় তৈরি করেন তিনি। তারপর সেগুলিকে রোদে দেওয়া, ভাটিতে পোড়ানোর কাজ করেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেরা। অবশ্য তাঁর এই কাজে সহযোগিতা করেন অশোক পন্ডিত নামের আরও এক ব্যক্তি। আনন্দ পন্ডিত জানান, তাঁর আদি বাড়ি বিহারে। বিয়ের পর তাঁর শ্যালক এখানে নিয়ে আসেন তাঁকে এবং এই ব্যবসা শুরু করতে বলেন। তারপর থেকেই প্রায় ১৫ বছর ধরে করে চলেছেন এই কাজ। কাগজের কাপ বাজারে এলেও, মাটির ভাঁড়ের চাহিদা আছে। ফলে চাহিদার লাভ ঘরে তুলতে পারেন তিনি।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বাবা নেই, মা হাসপাতালের সাফাই কর্মী, মেয়ে ফুটবল পায়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করল বিশ্ব দরবারে
আরও দেখুন

আর দীপান্বিতা অমাবস্যয় মাটির প্রদীপের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। তাই সারাবছর প্রদীপ নিয়ে চিন্তা থাকলেও কালী পুজোর সময় বাড়তি অক্সিজেন পাওয়া যায় ব্যবসায়। আনন্দ পন্ডিতের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী বিশেষভাবে সক্ষম। তাই অন্য কাজ করতে পারেন না। বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছি। তবুও হাল ছাড়িনি। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টিকিয়ে রেখেছি ব্যবসা। আনন্দ পন্ডিতের জীবনযাত্রা প্রমাণ করে, কোন বাধা ইচ্ছা শক্তি থাকলে স্বপ্নের পথে কাঁটা হতে পারে না। অদম্য জেদ,পরিশ্রম আর ইচ্ছা থাকলে জয় করা যায় যে কোনও যুদ্ধ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Clay Lamp Business : 'চারচাকা' স্কুটি নিয়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন এলাকা! এই বাজারে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার টেকনিকটা দেখে রাখুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল