মৃত কিশোরের নাম বিপ্লব মুর্মু। স্থানীয় হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ওই কিশোর। জানা গিয়েছে, দুপুরে জমিতে গিয়ে ইঁদুর ধরার জন্য সাপের গর্তে হাত ঢোকালে বিষাক্ত গোখরো ছোবল দেয় তাকে। সাপের কামড়ের কথা সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারকে জানায় ওই কিশোর। কিন্তু, বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে যায় এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলে তুকতাক, ঝাঁড়ফুক। তা কিছু পাতা ওষুধ হিসেবে খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর সুস্থ বলে তাকে বাড়ি যেতে বলে ওঝা।
advertisement
কিন্তু, বাড়ি ফিরে আসার পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্র। বারবার বমিও হতে থাকে। ফের ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হলে বিপদ বুঝে এরপর তিনি চিকিৎসা করতে কার্যত অস্বীকার করেন। বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত গাজোল হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু, ততক্ষনে কার্যত সব শেষ। চিকিৎসকরা ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, ডিএ নিয়ে বিবৃতিতেও সেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাই শোনালেন মন্ত্রীরা
ওই কিশোরের বাবা বাবুলাল মুর্মু বলেন, অন্যান্য দিনের মতোই আমি জমিতে চাষের কাজ করছিলাম। দুপুর নাগাদ আচমকা ছেলে আমার কাছে আসে। জমিতে বিভিন্ন গর্তে ইঁদুর ধরার চেষ্টা করছিল ছেলে। এরইমধ্যে জমিতে থাকা একটি গর্তে ইঁদুর রয়েছে ভেবে হাত ভেতরে ঢোকায়। ওই গর্তে ছিল বিষধর গোখরা। তাতেই বিপত্তি ঘটে। ওই ওঝার কাছে প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে ঝাড়ফুঁক করা হয় বলে জানিয়েছেন মৃতের বাবা।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের প্রতীক কাড়ার হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, পাল্টা 'অরণ্যদেব' কটাক্ষ কুণালের
জানা গিয়েছে , মৃতের পরিবার মলিন পাহান নামে এক ওঝার কাছে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ওই ওঝার অবশ্য দাবি, পরিবারের চাপে অল্প সময়ের জন্য তিনি ঝাঁড়ফুঁক করেছিল। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
