কর্তব্যরত অবস্থায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সৌরদীপ পাঁজা ও অর্ণব পাঁজা। বর্ধমান শহরের বাদামতলার রামকৃষ্ণপল্লিতে তাদের বাড়ি। বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ দিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে সিপিআইএমের পুরসভা অভিযানে ধুন্ধুমার, নেতৃত্বে অশোক ভট্টাচার্য
পুলিশ জানিয়েছে, এসএসআই জয়দেব কর, সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দম ভট্টাচার্য, অরবিন্দ সাঁতরা, অরিন্দম ঘোষ ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান শহরের তেলিপুকুর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ডিউটি করছিলেন। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দুর্গাপুরের দিক থেকে একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে তেলিপুকুরে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে। এরপর গাড়িটি রাস্তার পাশে একটি গুমটিতে ধাক্কা মেরে অটো স্ট্যান্ডের দিকে চলে আসে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যাত্রীদের উদ্ধার করেন তাঁরা। গাড়িটি নিয়ে যেতে গেলে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা বাধা দেয়। বর্ধমান থানা থেকে পুলিশের গাড়ি না আসা পর্যন্ত গাড়ির যাত্রীদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। এর প্রতিবাদ করে যাত্রীরা।
আরও পড়ুনঃ শোল পোড়া, পাঁচ ভাজা, পোলাও...কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মা তারা বন্দনা
এ প্রসঙ্গে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সঙ্গে গাড়ির যাত্রীদের বচসা বাধে। সেই সময় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের গালিগালাজ করা হয়। প্রতিবাদ করায় অরবিন্দ সাঁতরাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। মারধরে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার বিষয়ে এএসআই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া, মারধর ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দুই ভাই ছাড়াও শহরের পাওয়ার হাউস পাড়ার এক যুবকের নামও এফআইআরে রয়েছে। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
Saradindu Ghosh