বন দফতরের কাটোয়া রেঞ্জ-এর আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিংহের নেতৃত্বে ১৫ জন কর্মী এই পাখি গণনার কাজ করছেন। চারটি নৌকায় ভাগ হয়ে গণনা শুরু করেন তাঁরা। ক'টি প্রজাতির পাখি জলাশয়ে রয়েছে তা খাতায় লিপিবদ্ধ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : কবরস্থানের বিবিপুকুর খনন করিয়েছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া, জানেন না শহরের বাসিন্দারাই
advertisement
এ বারও পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গায় প্রচুর পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছে। বনকর্মীদের একাংশ মনে করেছিলেন, খাবার এবং উপযুক্ত পরিবেশের জন্যই চুপি পাখিরালয়ের পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করেছে। বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, সম্পূর্ণ হিসেব কষা এখনই সম্ভব নয়। তবে চুপির পাখিরালয়ে এ বার কম-বেশি ১১ হাজার পাখির সন্ধান মিলেছে। গত বছরও এই সংখ্যায় পরিযায়ী পাখি এসেছিল।
পাখির সংখ্যা না কমলেও বেশ কিছু জায়গায় জল দূষিত হয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। ওই অংশ পরিষ্কার করা না হলে ভবিষ্যতে পাখির সংখ্যা কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে পূর্বস্থলী ২-এর বিডিও সৌমিক বাগচী জানান, " এ নিয়ে বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা হবে। বনকর্মীদের একাংশের মতে পাখিদের খাবারের অভাব না হলেও চুপির ছাড়িগঙ্গায় জলের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। জলাশয়ের দু'ধারে বেড়েছে চাষের এলাকা। এর ফলে পাখিদের জায়গা কমছে। এমনটা চলতে থাকলে মুখ ফেরাতে পারে পরিযায়ী পাখিরা।"
আরও পড়ুন : স্কুলের দরজা খোলা থেকে মিড ডে মিলের দেখভাল, অবসরের পরও রোজ বিনা পারিশ্রমিকে পড়াতে আসেন এই শিক্ষক
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন প্রজাতির কতগুলি পাখি এসেছে, নতুন যেসব প্রজাতির বাকি এসেছে তারা আগে কোথায় আসত, সে সব বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে।