স্যান্টাক্লজের পরনে রয়েছে লাল পোশাক, সাদা দাড়ি এবং মাথায় বড়দিনের টুপি। বাঁকুড়ার পাঠকপাড়ার আদি নিবাসী এবং জুনবেদিয়ার বাসিন্দা ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় তৈরি করেছেন এই স্যান্টাক্লজকে। পেশায় চিত্রশিল্পী হলেও নেশায় শিল্পের নতুনত্ব ভাবনা তুলে ধরতে পছন্দ করেন তিনি।
advertisement
দীর্ঘ তিন দশকের উপর সময় ধরে শিল্পচর্চা করছেন তিনি। চোখে বসেছে চশমা! তবুও কাজের সুক্ষতা বরঞ্চ বেড়েছে। সূক্ষ্ম কাজ করতে পছন্দ করেন শিল্পী ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। নিজের কাজের মাধ্যমে নিজের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীকে অনুপ্রাণিত করতে চান তিনি। সে কারণেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন চিত্রশিল্পী ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমি বরাবরই নতুনত্ব কিছু করতে পছন্দ করি। যাতে মানুষের মনে একটা দাগ কাটতে পারি। শিল্প মানে নতুন কিছু ভাবনা এবং নতুন কিছু করে দেখান।”
এর আগে কালীপুজোর সময় অর্ধেক ইঞ্চির মা কালী থেকে চার সেন্টিমিটারের মা কালী সঙ্গে আখরোটের উপর মা দুর্গা, বোতলের ভিতর মা দুর্গা এবং মা কালী বানিয়ে দাগ কেটেছিলেন এই শিল্পী। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় বানিয়েছিলেন, বোতলবন্দী বিরাট কোহলিকে।
এক দশক আগে সৌরভ গাঙ্গুলীকে উপহার দিয়েছেন “বোতলবন্দী দাদা”। এবার বড়দিনের আগে তৈরি করলেন বাল্ববন্দি সান্টা ক্লজকে। প্রান্তিক বাঁকুড়া থেকেও কিভাবে মৌলিক শিল্পচর্চা করা যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন অভিজ্ঞ এই শিল্পী।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী