TRENDING:

চিটফান্ডের কর্মকর্তা পৌরসভার চেয়ারম্যানও, তাতেও শেষ রক্ষা হল না!

Last Updated:

West Bengal News: ২০০৮ সালে সৌম্যরূপ ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি 'সানমার্গ  ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' নামে একটি চিটফান্ড করে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হালিশহর: হালিশহর পৌরসভা চেয়ারম্যান রাজু সাহানি সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন একটি চিটফান্ড কোম্পানির মামলায়। প্রশ্ন উঠছে রাজু সাহানি কি সত্যিই জড়িত? সূত্রের খবর বলছে, রাজু সাহানি 'সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' নামে একটি চিটফান্ডের ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার ছিলেন। সেই সময় তিনি নিজে ওই চিটফান্ডের এজেন্টদের সঙ্গে মিটিংও করতেন ও ব্যবসা ডেভেলপমেন্টের পরামর্শ দিতেন।
রাজু সাহানি
রাজু সাহানি
advertisement

২০০৮ সালে সৌম্যরূপ ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি 'সানমার্গ  ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' নামে একটি চিটফান্ড করে।সেই বোর্ড অফ ডিরেক্টরের মধ্যে বর্ধমানের বুদবুদের নাসির, কার্জন গেটের বাপি দা( খেলনার দোকান)সবাই মিলে কোম্পানিটি করে। রাজুর বাবা তাবড় সিপিআইএম নেতা ছিলেন। যার ঘনিষ্ঠতা ছিল তৎকালীন দিনের সিপিআইএমের ডাকা বুকো মন্ত্রী নিরুপম সেনের সঙ্গে। সৌম্য রূপ পরে নিরুপম সেনের ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। 'সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে।যখন সানমার্গ নামক এই চিটফান্ডটি টাকা দিতে পারছিল না, ২০১১ সালে রামপুরহাট থেকে কাকদ্বীপ বিভিন্ন জায়গায় ওদের শাখা অফিসগুলোতে বিনিয়োগকারীরা গণ্ডগোল করেছিল। তখন রাজুর প্রভাবে পুলিশ কোন ভাবে আমল দেয়নি।

advertisement

আরও পড়ুন: সিপিআইএম আমলে স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারি, বাঁচিয়ে ছিলেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়: মমতা

এই 'সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' থ্যালাসেমিয়ার নাম করে বিভিন্ন মহিলাদের দিয়ে কুপনের মাধ্যমের প্রচুর টাকা তুলেছিল।সেই টাকা হজম করেছিল ওরা।  এই চিটফান্ডের মূল কর্ণধার সৌম্যরূপ ভৌমিক ২০১৩ থেকে ২০১৪ নাগাদ দেশ ছেড়ে পালায়।দেশ ছেড়ে পালানোর আগে রাজু সাহানিকে অল্প দামে সৌম্যরূপের কোম্পানির কেনা বেশ কিছু জমি ও টাকা দিয়ে গেছিল বলে খবর।

advertisement

আরও পড়ুন: বাংলায় আরও ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ! বিরাট ঘোষণা মমতার, করলেন আফশোসও

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

যারা প্রতারিত হয়েছিলেন তারা এখনো বলেন সৌম্যরূপকে এই দেশ থেকে পালাতে সাহায্য করেছিল এই রাজু সাহানি।  সৌম্যরূপ প্রথমে' সানমার্গ 'নামের ডায়মন্ড হারবারের একটি চিটফান্ডে কাজ করত।সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বর্ধমান 'সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি' বানায়। রাজু সাহানি নিজেকে যতই পরিচ্ছন্নতার তকমা দিক। সেই সময়কার ওই চিটফান্ডের এজেন্টরা রাজুর ভূমিকা নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও,প্রত্যেকেই বলছেন প্রতিটা অপরাধের শেষ থাকে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
চিটফান্ডের কর্মকর্তা পৌরসভার চেয়ারম্যানও, তাতেও শেষ রক্ষা হল না!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল