চিনা মাঞ্জার সুতোয় কাবু পশু-পাখি থেকে মানুষ সকলেই। প্রশাসন চিনা মাঞ্জার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তাতে রাস টানা যাচ্ছে না। বেআইনিভাবে বিভিন্ন দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে চিনা মাঞ্জা। জেলা থেকে শুরু করে কলকাতার রাজপথ সর্বত্রই বিপদ বাড়াচ্ছে এই সুতো। বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ঘুড়ির মরশুমে চিনা মাঞ্জার কারণে কার্যতম মারণ ফাঁদ হয়ে ওঠে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিচে হাতি উপরে হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার! প্রাণ হাতে নিয়ে চলছে ফসল পাহারা
এমনকি এই সুতো রেলের ওভারহেড তারে জড়িয়ে ট্রেন চলাচলে পর্যন্ত বিঘ্ন ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেল দফতর। বিপদ এড়াতে রেলের তরফে লাইন সংলগ্ন স্থানে ঘুড়ি ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চিনা মাঞ্জার বিপদ সম্পর্কে আমজনতা কী বলছে? হাওড়া জেলা জুড়ে গ্রাম ও শহর সর্বত্রই এই চিনা মাঞ্জা নিয়ে আতঙ্ক নজরে এল। বিশেষ করে সাইকেল ও বাইক আরোহীরা বিষয়টি নিয়ে বেশ আতঙ্কিত। কয়েকদিন আগে হাওড়া জেলার বাগনানে এক বাইক আরোহী যুবকের গলায় চিনা মাঞ্জা সুতো জড়িয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সলপ সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতকারী এক বাইক আরোহী চিনা মাঞ্জায় আহত হলেন।
এই সকল ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবেশকর্মী চিত্রক প্রামাণিক জানান, নাইলন মাঞ্জা সুতো বিক্রি সম্পূর্ণ বেআইনি ও নিষিদ্ধ। তারপরেও কিছু মানুষ নিজেদের চিত্ত বিনোদনের জন্য নাইলন মাঞ্জায় ঘুড়ি ওড়ায়। এই নাইলন মাঞ্জা বা চিনা মাঞ্জার জন্য প্রতি বছর অসংখ্য পাখি আহত হয় ও তাদের মৃত্যু হয়। রাস্তায় বাইকে করে যাওয়ার সময় এই নাইলন মাঞ্জায় গলা আটকে বহু মানুষ গুরুতর আহত হয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
রাকেশ মাইতি