আরাধ্যার বাবা সোমনাথ পণ্ডিত সরকারি স্কুলের শিক্ষক, অন্যদিকে মা অনিমা পণ্ডিত পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নার্স। যে বয়সে অন্যান্য শিশুরা ঠিক মতো কথা বলতে পারে না। সেই বয়সেই আরাধ্যা বিভিন্ন পশু পাখির ডাক থেকে অন্যান্য কথা শুনে শুনে বলতে পারত। তারপর থেকেই বাবা মার অসাধারণ প্রশিক্ষণে অসাধারণ হয়ে উঠেছে ছোট্ট আরাধ্যা। তাই আরাধ্যার স্মৃতিশক্তি এই বয়সের অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গড়গড়িয়ে ছড়া বলা থেকে নামতা, ইংরেজির অক্ষর থেকে শুরু করে সবকিছুই তার ঠোঁটস্থ।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রকৃতির কোলে অল্প খরচে ছুটি কাটাতে চান? আসুন ভুটান পাহাড় ও চাবাগানের মাঝে এই একফালি জায়গায়
আরাধ্যার এই বিশ্বের প্রতিভা নিয়ে তার মা অনামিকা পণ্ডিত জানান, এক বছর বয়স থেকেই আরাধ্যা টিভি থেকে বা চারপাশের পশু পাখির আওয়াজ শুনে শুনে নকল করতে পারত। নিজের নাম, বাড়ি ও ঠিকানা বলতে পারে। তার পর থেকে ধীরে ধীরে আরাধ্যাকে যা শেখানো হয়, তা সে মনে রাখতে পারে। এই বয়সে ফুল ফল সবজি চেনার পাশাপাশি বিভিন্ন পশু পাখিদেরও চিনতে পারে।
প্রখর স্মৃতি শক্তিধর আরাধ্যায় এই বয়সে ১৭ টি কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি ছোট্ট আরাধ্যা ১৮ রকম সবজিও চিনতে পারে। বাড়ির ৪০ রকমের জিনিস চিনতে পারে। ৬ টি পশুর ডাক নকল করতে পারে। এমনকি নানা পশুদের চিনতে পারে। ঠিকানা ও বাড়ির লোকের নাম বলতে পারে ৩৩ সেকেন্ডে। পাঁশকুড়ার আরাধ্যার এই বিস্ময়কর প্রতিভা দেখে গর্বিত তার পরিবার আত্মীয়স্বজন থেকে প্রতিবেশীরা।