হাসপাতাল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, অবস্থা এমনই যে নতুন ওয়ার্ড খুলেও জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। এক বেডে দুটি শিশুকেও রাখতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত হচ্ছে এক বছরের কম বয়সি শিশুরা, জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভেন্টিলেটর সহ আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে, বাড়তি নার্স আনা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসকের সংখ্যাও। কিন্তু উৎসবে মরশুমে এভাবে জ্বর সর্দির আর শ্বাসকষ্টের হানাদারিতে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের।
advertisement
আরও পড়ুন-তৃণমূলে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, একা নয়, এলেন সদলবলে
শিশু চিকিৎসকরা বলছেন বড়দের থেকেই এই ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। মাস্ক ছাড়া শিশুদের কাছে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার আগেই শিশুদের চিকিৎসা আওতায় নিয়ে আসার পরমার্শও দিচ্ছেন তাঁরা।
তাঁদের মতে, প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে এমন জ্বর হয়। তবে এবার তার প্রভাব বেশি। যেহেতু থার্ড ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি তাই আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন অভিভাবকরা। স্বাস্থ্য দফতর এই পরিস্থিতিতে যে পরামর্শ দিচ্ছেন-
বাড়িতে যত্ন-
১। পর্যাপ্ত জল খাওয়ানো
২। ডায়ারিয়ার জন্য ওআরএস
৩। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল
৪। শিশুর অ্যাক্টিভিটির দিকে খেয়াল রাখা বিশেষত জ্বর কমে যাওয়ার পর। সঙ্গে জ্বর, শ্বাস প্রশ্বাস, মূত্রত্যাগ এবং খাওয়া দাওয়ার ওপর নজর রাখা।
সচেতনতা—
১। বাড়িতে কারও জ্বর বা রেসপিরেটরি সিম্পটম হলে তাঁর থেকে শিশুকে দূরে রাখা।
২। বাড়ির বয়ষ্ক কারও শ্বাসজনিত সমস্যা বা রেসপিরেটরি সিম্পটম থাকলে তার থেকে ২ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের দূরে রাখা
৩। বাড়িতে মাস্ক পরে থাকা।
৪। ঘরে কারও সর্দি, কাশি, জ্বর হলে বাড়ি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত রাখা
৫। বাইরে মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ববিধি মেনে চলা।