পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে সকলের চোখ এড়িয়ে পুকুরে পড়ে গিয়েছিল বছর দেড়েকের শিশুটি। পরে বাড়ি লাগোয়া পুকুরের জলে ভেসে ওঠে তার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও গ্রামের কয়েকজন মিলে তাকে পাড়ে তুলে এনে তুকতাক শুরু করে দেয়। শিশুটিকে মাথার উপর তেলে বনবন করে ঘোরানো হয়। পুকুরে লাঠি দিয়ে জল পেটানো হয়। গ্রামে একে ‘জল রাক্ষস’ মারা বলে। এইভাবে কয়েক ঘণ্টা মূল্যবান সময় চলে যায়। পরে গ্রামের কিছু মানুষ কার্যত জোর করে শিশুটিকে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
advertisement
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টিতে ভেসে গেল পুকুরের সব মাছ! পথে বসার যোগাড় মৎস্যজীবীদের
খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ এসে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত শিশুর বাবা বলেন, বাড়ির সকলেই বিশ্বাস করেন, জলে ডুবলে জল পেটানো, মাথায় নিয়ে ঘোরাঘুরি করলে প্রাণ ফেরে। আমরা সে সব করছিলাম। তবে আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। বাসন্তীর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, বহু মানুষ এখনও কুসংস্কারের আচ্ছন্ন। তুকতাকে বিশ্বাস করে এইভাবে সময়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন না। দ্রুত শিশুটিকে হাসপাতালে আনলে হয়ত প্রাণে বাঁচানো যেত।
সুমন সাহা