চিপসের প্যাকেট চুরির অপবাদ মাথায় নিয়ে না-ফেরার দেশে চলে গিয়েছে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট, খাতায় লেখা মায়ের উদ্দেশ্যে ওই সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার কথাগুলি এক বর্ণ মিথ্যে নয়।
এই চিপসের প্যাকেট চুরির অপবাদ দেওয়ায় মেনে নিতে পারেনি ছেলেটি। তাই বেছে নেয় চরম পথ। আর এই ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত চাইছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসন থেকে জেলাবাসী।
advertisement
হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় বালকের। এরপরই ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত দোকানদার শুভঙ্কর দীক্ষিতের বাড়িতে চড়াও হয়। অশান্তির ভয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার দোকানির বাড়ির ৩০০ লোক বাড়ি ঘিরে ফেলেন। বাইরে থেকে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে।
আরও পড়ুন: রোজকার অশান্তি শেষে ঘুমালেন স্ত্রী! আর ঘুম ভাঙল না, কেন? স্বামীর ‘নোংরা’ কীর্তি শুনলে শিউরে উঠবেন
শনিবার সকালে এলাকায় পুলিশি টহলদারি দেখা যায়। শনিবার সকালে বালকের বাড়িতে যান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। মা বাবার সঙ্গেও দেখা করেন। তিনি বলেন এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক। ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার জড়িত রয়েছে। এদিকে বালকের মৃত্যুর ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
মৃত ছাত্রের সৎ বাবা জগন্নাথ বেরা বলেন, ‘অভিযোগ করব কিনা ভাবছি।’ অন্যদিকে, কৃষ্ণেন্দুর মা বলেছেন, ‘ আমার ছেলে চুরি করেনি। দোকানের সামনে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেট নিয়ে এসেছিল। শুভঙ্কর চোর চোর বলে ওকে অনেকটা পথ ধাওয়া করে এবং সবার সামনে কান ধরে ওঠবস করায়। শুভঙ্করের কঠোর শাস্তি চাই। শুভঙ্করের বিরুদ্ধে থানায় অবশ্যই অভিযোগ জানাব।’
এই বালকের মৃত্যুর ঘটনায় সরব হয়েছে জেলা নাগরিক সুরক্ষা কমিটি। নাগরিক সুরক্ষা কমিটি ই মেইল মারফত জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও উপস্থিতি কঠোরতম শাস্তির আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
সৈকত শী