ভাঙা হাতে ভুল প্লাস্টারের ফলে পাঁচ বছরের এক শিশুকে চরম মাশুল গুণতে হচ্ছে। এই ঘটনার পর ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের তরফে ভুক্তভোগী শিশুর অভিভাবকের হাতে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাকদ্বীপের অভিযুক্ত নার্সিংহোমকে। পাশাপাশি, জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে অভিযুক্ত নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
advertisement
জানা যাচ্ছে, পড়ে গিয়ে শিশুটির হাত ভেঙেছিল। এরপর তাকে কাকদ্বীপের এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্লাস্টার অফ প্যারিসের একটি কাস্টিং হয়। কিন্তু প্লাস্টারটি এত টাইট ছিল যে শিশুটির হাতে যন্ত্রণা শুরু হয়। এর পর শিশুটিকে ওই নার্সিংহোমে ফের নিয়ে গেলে তার প্লাস্টারটি উপর থেকে কেটে আলগা করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও লাভ না হওয়ায় দ্বিতীয় দিন সেটি পুরো কেটে ফেলা হয়। তখন দেখা যায়, হাতটি ইতিমধ্যেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় এসএসকেএমে (SSKM)। সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে শিশুটির চিকিৎসা হয়। প্লাস্টিক সার্জারি-সহ পর পর তিন বার ওই শিশুটির ক্ষতিগ্রস্ত হাতে অস্ত্রোপচার হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পচন ধরে হাতটি কেটে বাদ দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত হাতটি বাঁচাতে পেরেছেন এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা। তবে ওই হাতটি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এরপরে কমিশনের বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জেন সবকিছুই খতিয়ে দেখে জানিয়েছেন, শিশুটি প্রতিবন্ধী হিসাবে গণ্য হবে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।