সম্প্রতি পুরুলিয়ার বলরামপুর লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের নিমডিতে ছৌ-মহোৎসবে দুই রাজ্যের পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এই উৎসবে প্রায় ৮৫০ জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করে। এই শিল্পকলার বাজার আগের থেকে অনেক উন্নত, তাই বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই নৃত্য। এতে মাসিক আয় হতে পারে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ‘স্যার, আমার স্ত্রী আমার শরীরে…’ থানায় ঢুকে লোকো পাইলট যা বলল, চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল পুলিশও
advertisement
এ বিষয়ে বাংলা নাটক ডট কমের অধিকর্তা অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন , বর্তমানে এই নাচের চাহিদা বেড়েছে। ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লায় ছৌ-নৃত্যের তিন ধরনের ধারা বজায় রয়েছে। সেই জন্যই এখনকার ছেলে-মেয়েরা এই নাচকে ঘিরে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছে। এই অনুষ্ঠান হওয়ার ফলে খুশি পড়ুয়ারা।
এ বিষয়ে বলরামপুর মালতি শ্যামনগর জিলপা লায়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তীর্থঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান হওয়ার ফলে ছৌ- নৃত্যের প্রভাব আরও বিস্তার হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা বিকল্প রোজগারের পথ খুঁজে পাচ্ছেন। তাদের শেখার আগ্রহ বাড়ছে। তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান আরও হলে সার্বিক ভাবেই ছৌ-এর বিকাশ ঘটবে। ছৌ-এর চাহিদা বাড়বে।
এ বিষয়ে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়ারা জানায়, এই ছৌ-মহোৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি তারা। এই ধরনের তালিম তারা এই প্রথমবার নিচ্ছেন। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেয়েরাও ছৌ নৃত্যে নিজেদের প্রতিভা দেখাচ্ছে। আগামিদিনে তারা এটা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন। ধীরে ধীরে ছৌ- নৃত্যের উপর আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের। নানান কারণে ছৌ নাচের বাজার এখন বেশ ভাল।
ছৌ এখন শুধু গ্রামীণ এলাকার বিনোদন নয়, এই লোকনৃত্যর আগ্রহ বাড়ছে শহরাঞ্চলেও। পুরুলিয়ায় বীররসের ছৌ নাচের দলের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৫০টি দল সারা বছর বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করে। ফলে এই দলগুলির শিল্পীদের মাসিক আয় ১০ হাজার থেকে ৭০ হাজার পর্যন্ত। আর সেই কারণেই এই ছৌ নাচকে ঘিরে নবপ্রজন্মের আগ্রহ বেড়ে চলেছে।
—শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি