উত্তর প্রদেশ বিহার, ঝাড়খন্ড এই উৎসব পালনের রীতি। তবে বর্তমানে বাংলার প্রায় সর্বত্রই কমবেশি এই উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ রাজ্যেও জাঁকিয়ে ছট পুজোর আয়োজন বেশ কিছু স্থানে তার মধ্যে অন্যতম হাওড়া। হাওড়া শহরের মানুষ এই উৎসবে সূর্য অস্ত এবং সূর্য উদয়ের সময় হাজির হন হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ে। কিন্তু করোনা সময় থেকে ছবিটা কিছুটা বদল। শহরের বেশ কিছু মানুষ, আবাসনে ছট পুজোর আয়োজন করছেন কৃত্রিম জলাশয় বানিয়ে।
advertisement
হাওড়ার ইছাপুরে একটি আবাসনে করোনা সময়ে ছট পুজোয় সূচনা হয়। শুরুতে ১২-১৫ টি পরিবার মিলে ছট পুজোর আয়োজন করেছিলেন। অন্যত্র গিয়ে পুজিত পরিবর্তে, আবাসনে পুজো, খুব সহজেই পরিবারের ছোট বড় সকলেই অংশ নিতে পারেন।
নদী ঘাটে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি এবং ভিড় থাকে, সেই তুলনায় আবাসনের ছাদে সুষ্ঠুভাবে ভক্তিভরে দেব দেবীর আরাধনা করা যায়। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কম থাকে, ফলে কৃত্রিম জলাশয় বানিয়ে ছট পুজোয় আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। ইছাপুরের এই আবাসনে শুরুতে ১২-১৫ টি পরিবার যুক্ত হয়েছিল। এবার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবার অংশ নেয়।
এই পুজোয় সূর্যাস্তের সময় সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয় এবং পরের দিন ভোরবেলা অর্ঘ্য দেওয়ার মাধ্যমে পুজো শেষ হয়। ছট মাতার পুজোর আগে বিশেষ নিয়মে গণেশ পুজো তারপর সূর্য দেবতাকে আহ্বান বা পুজো দেওয়ার পর ছট পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা প্রেম প্রকাশিং জানান, লকডাউন বা করো না সময় নিয়ম রক্ষায় বাড়ির ছাদে শুরু হয়েছিল ছট পুজো। গত কয়েক বছরে এভাবে ছট পুজোর আয়োজনে স্থানীয় মানুষের আগ্রহ বেড়ে। এবার আবাসনের দুটি স্থান মিলে ৫০টি পরিবার অংশগ্রহণ করেছে। এই পুজোতে উপস্থিত থাকেন এবং তিনি পুজোয় অংশ নেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। যা আরো বেশি করে মানুষকে উৎসাহিত করে।
বাড়ির আবাসনে এভাবে ছট পুজোর আয়োজন একদিকে যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়, দূষণ রোধ করে সেই সঙ্গে পরিবারের সকলে মিলে উৎসবে শামিল হওয়া যায়। ফলে গত কয়েক বছরের শহরে আবাসনে ছট পুজোর প্রবণতা বেড়েছে ।
Rakesh Maity





