শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার বীর পঞ্চানন গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কান্দরের বাঁধের ধারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে কাছে গিয়ে দেখেন এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ জ্বলছে। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
advertisement
আরও পড়ুন: বৃদ্ধার সারা জীবনের সঞ্চয় ফিরিয়ে দিল জিআরপি
শনিবার সকালে ওই যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মৃতের নাম-পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই আতঙ্কে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে অন্তরালে গ্রামবাসীদের অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছে, ওই যুবককে মেরে কান্দরের বাঁধের ধারে ফেলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ হিসেবে গ্রামবাসীদের দাবি, ওখানে আগুন লাগার মত উপকরণ নেই, চারিদিকে সবুজ ঘাস। ফলে বাইরে থেকে দাহ্যবস্তু না ছড়ালে আগুন ধরবে না। যুবকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের আগাছা এবং নিম গাছের পাতা ঝলসে গিয়েছে।
কৌশিক অধিকারী