খবর ছড়াতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকার যুবকেরা ও জনপ্রতিনিধি মিরাজ খান। কারও হাতে জল, কারও হাতে কলার পাতা—যা পেয়েছেন, তাই নিয়ে ছুটে এসেছেন সাহায্যে। হনুমানটিকে নিয়ে যাওয়া হয় চারঘাট পশু হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। হনুমানটির দেহে বেশ কয়েকটি অংশে ক্ষত পাওয়া গেছে, তবে সঠিক সময়ে উদ্ধার হওয়ায় প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মা-মেয়ের সঙ্গে প্রেম, হলদি নদীর পাড়ে ভয়ানক পরিণতি! ৫ বছর পর বড় রায় দিল তমলুক আদালত
এই ঘটনার খবর পেয়ে চারঘাটের বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী কৈলাস চৌধুরী নিজ উদ্যোগে বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বনদফতরের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হনুমানটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেন। প্রয়োজনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করার কথাও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদবী ‘সর্দার’ বাদ দিয়েছেন, মানুষ ও সাপের বন্ধু তিনি, নাম ‘সাপ বাপী’
আহতের পাশে দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত নিঃশব্দ বন্ধন তৈরি হয়েছে মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে। অনেকে ফুল-ফল নিয়ে প্রণাম করেছে হনুমানটির সামনে—যেন এ কেবল একটি প্রাণী নয়, এক দেবশক্তির রূপ। গ্রামবাসীদের এই মানবিকতা ও তৎপরতা প্রমাণ করে, প্রযুক্তির ঝলকে ঢেকে গেলেও বাংলার মাটিতে এখনো মাটির টান, প্রাণের টান অটুট। হনুমানটিকে ঘিরে আবেগ, আতঙ্ক, স্নেহ আর সাহস মিলেমিশে যেন এক ছোটখাটো উৎসবে পরিণত হয়েছে চারঘাটের পাতুয়া গ্রাম।