তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী সানি মিত্র। পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের বাসিন্দা। যিনি খড়গপুর আইআইটি থেকে পাড়ি দিয়েছেন দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। জীবনের প্রথম চাকরিতেই ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন পূরণের কারিগর হতে পেরেছেন তিনি। ইসরোয় কর্মরত সানি মিত্র রয়েছেন ইসরোর বিকাশ ইঞ্জিন বিভাগে রয়েছেন। যে টিম মহাকাশযানকে চাঁদে পাঠানোর লঞ্চার ভেহিকেল অর্থাৎ রকেট তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আবার চন্দ্রযানের চাঁদের মাটিতে পালকের মতো নামার জন্য যে থ্রাস্টার ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি তৈরি দায়িত্ব ছিল এই টিমের হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন: দারুণ খবর! আয়ু বাড়ল চন্দ্রযান ৩-এর, প্রোপালশন মডিউলে বেঁচে গিয়েছে ১৫০ কেজি জ্বালানি
যে টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সানি মিত্র। রানিগঞ্জের বাসিন্দা সানি মিত্র স্কুল জীবন কাটিয়েছেন দুর্গাপুরের সেন্ট জেভিয়ার্স এবং হেমসিলা মডেল স্কুলে। তারপর খড়গপুর আইআইটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক এবং এমটেক করেছেন। সেখান থেকে ক্যাম্পাসিং-এ ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে কাজের সুযোগ পান তিনি। ২০১৮ সাল থেকে সেখানেই কর্মরত রয়েছেন সানি মিত্র।
আরও পড়ুন: যতদিন বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড, ততদিন চাঁদের বুকে ভারত! রোভার প্রজ্ঞান আঁকবে জাতীয় পতাকা, কীভাবে?
লোকাল ১৮ বাংলাকে সানি মিত্র ফোনে জানিয়েছেন, একটা অভূতপূর্ব মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। চন্দ্রযান তিনের সফল অবতরণ গোটা দেশের গর্ব। এটা শুধু ইসরোর বিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে নয়, গোটা দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, চন্দ্রযান তিন অবতরণের সময়, চন্দ্রযান দুয়ের ব্যর্থতার কথাও বারবার মনে পড়ছিল। চন্দ্রযান তিন সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেভাবে একটা উন্মাদনা ছিল, তেমনভাবেই আশঙ্কাও ছিল। তবে সুন্দর ভাবে মিশন প্ল্যানিংয়ের জন্য এবং অত্যাধুনিক নানান প্রযুক্তি, সফটওয়্যার, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্যবহার করার ফলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখা সম্ভব হয়েছে।
ইসরোর এই সাফল্যকে তিনি তাঁর পরিবার এবং গোটা দেশবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেছেন। জেলার ছেলের এই কর্মকাণ্ডে গর্বিত তাঁর বাবা-মা, ঠাকুমা থেকে শুরু করে পরিবার-সহ জেলার সমস্ত মানুষ। সানি মিত্র জানিয়েছেন, চন্দ্রযান তিনের সাফল্যের পর কোনও ছুটি নেই। এখন তাঁরা আবার ইসরোর সূর্য মিশন এবং গগনযান প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত।
Nayan Ghosh