কর্দমাক্ত রাস্তায় ধান চারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের বাসিন্দারা। ফের রাস্তার করুণ ছবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবনীপুর এলাকায়। বাঁকা থেকে ভবানীপুর হয়ে বাগপোতা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার বেহাল অবস্থা। বাঁকা, ভবানীপুর, বাগপোতা সহ একাধিক গ্রামের মানুষের যাতায়াত এই গ্রামীণ রাস্তার উপর দিয়ে। বাম আমলে মোরাম বোল্ডার দিয়ে তৈরি রাস্তা। সেই থেকে রাস্তার দিকে নজর নেই কারও। বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রধান, এমনকি বিডিওকে জানিয়েও রাস্তার হাল ফেরেনি বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন : পোলাও, বিরিয়ানি ছেড়ে এবার খিচুড়ি! কার হাতে কত স্বাদ, চেখে দেখলেন বিচারকরা
তাই উপায় না পেয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এলাকায় কাদা ভর্তি রাস্তায় ধান চারা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামের মহিলা, পুরুষ সহ আট থেকে আশি সকলেই। তাঁদের অভিযোগ, শিলাবতী নদীর পাড় বেয়ে চলে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। ফি বছর বন্যায় নদীর জল বেড়ে রাস্তার একাধিক জায়গায় যেমন ভাঙন ধরে, তেমনই রাস্তারও হাল বেহাল হয়ে যায়। সম্প্রতি ভবানীপুরে শিলাবতী নদীর পাড় বাঁধা হয়েছে সেচ দফতরের তরফে। মাটি ও বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ বাধার ফলে রাস্তা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘পুজোর কেনাকাটার ভিড়’ সেদিন অতীত! অনলাইন শপিংয়ে কোণঠাসা ব্যবসায়ীরা
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল এই রাস্তা ঢালাইয়ের দাবি তুলেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এই রাস্তা দিয়ে খালি পায়ে, সাইকেল নিয়ে, হেঁটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। এমনও ছবিও দেখা যায়। এমনকী গ্রামের প্রসূতি মহিলাদের চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এককথায় ভবানীপুর থেকে আশপাশের গ্রামে যেতে হলে পায়ে হেঁটে যাওয়ায় দুষ্কর হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের। এবিষয়ে মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শম্ভু সরেন রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন। রাস্তার প্রয়োজন, তাও তিনি মানছেন। তিনি বলেছেন,জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করছেন রাস্তা হবে। অর্থের অভাবে কাজে সমস্যা হচ্ছে, তবে তাঁর তরফে একশো শতাংশ চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।