নিছক শখের বসে ঐতিহাসিক স্থানের তথ্য চিত্র বানিয়ে সাড়া ফেলল চন্দননগর অনির্বাণ সাহা। তিনি কলকাতার স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মী। তার আগাগোড়াই ইতিহাস ও ঐতিহাসিক স্থানের প্রতি আগ্রহ ছিল। তিনি আগে ইতিহাস নিয়ে বই লিখে ছিলেন।করোনাকালে চন্দননগরের ইতিহাস স্বাধীনতা আন্দোলন, মন্দির ও স্থাপত্য নিয়ে কাজ করার চিন্তাভাবনা করেন। তার বন্ধু সহকর্মী কৌশিক ভক্ত উৎসাহে তথ্য চিত্রের চিন্তাভাবনা আসে। এরপর একাধিক তথ্য চিত্র বানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: খাটের নিচে জল, রান্নাঘরে জল! সবই জলে জলময়! বর্ষার আগেই সব কাজ লাটে উঠেছে এই এলাকায়
চন্দননগরের সামগ্রিক ইতিহাস নিয়ে ১৭ টি পর্বে ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন। এছাড়াও চন্দননগর দর্পণ, কালের আয়না গড়পঞ্চকোট, পাকবিড়রা দ্য আর্কলজিক্যাল ভিলেজ, পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য ও মুখোশ গ্রাম, জানা-অজানা বিষ্ণুপুর তথ্যচিত্র বানিয়েছেন। এতে সহযোগিতা করেছেন একাধিক মানুষ। রবিবার মহারাষ্ট্রে আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জানা-অজানা বিষ্ণুপুর তথ্যচিত্রে পুরস্কার পান অনির্বান। আওরঙ্গবাদের মৌলানা আজাদ গবেষণা কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে দুটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে। এনিয়ে ১৩ টি পুরস্কার পেয়েছে এই তথ্যচিত্রে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চন্দননগরের মরাণ রোডের মন্ডল বাগানের বাসিন্দা অনির্বাণ ছেলেবেলা থেকে পড়াশোনা চন্দননগরে। কমার্সের ছাত্র হয়েও আগাগোড়াই, ইতিহাসের প্রতি লেখালেখির ইচ্ছা ছিলই। ২০০৮ সালে কলকাতা স্টেট ব্যাঙ্কে চাকরি জীবন শুরু হয়। বর্তমানে স্ত্রী শর্মিষ্ঠা দাস সাহা শিক্ষকতার সঙ্গে সঙ্গে ডকুমেন্টারির তৈরির কাজে সাহায্য করেন তাকে। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সংসার তাদের। সহকর্মী কৌশিক ভক্তের ক্যামেরা দিয়ে চন্দননগরের বিভিন্ন ইতিহাস, মন্দির ও স্থাপত্য বিষয়ে তথ্য চিত্র বানিয়েছেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন রকম ইতিহাস নিয়ে কাজ করা শুরু করেন।অনেকেই তার সঙ্গে সহ যোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।
আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫ (সিজন ৪) এ সমস্ত মহাদেশ থেকে এক হাজারটির বেশি চলচ্চিত্র অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ভারতীয়, জাপান, কানাডা, স্পেন ও ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিরা পুরস্কৃত হন। মহারাষ্ট্র থেকে পুরস্কার পাওয়ার পর ডকুমেন্টারি পরিচালক অনির্বান সাহা বলেন, “আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব সাহায্য করেছেন। এই পুরস্কার আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। আগামীদিনে আরও ভাল কাজের ইচ্ছা পাব।”
Rahi Haldar