চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই জানালো বিদ্যুৎ দফতর। এই দিন চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনের বৈঠকে হয় আলোচনা হয় বিদ্যুতের বাহোর নিয়ে তার সঙ্গে পুজো করার জন্য প্রশাসনের কিছু বিধি থাকে সেগুলো যেমন জানিয়ে দেওয়া হয় তেমনই কি করনীয় কি করনীয় নয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।এই দিন উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, মেয়র চন্দননগর রাম চক্রবর্তী, ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী সহ পুলিশ বিদ্যুৎ দপ্তর রেল স্বাস্থ্য দপ্তর পুরসভার জন প্রতিনিধি ও আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় স্বস্তি বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ-র! বালি-অস্ত্র মামলায় বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের জেনারেল ম্যানেজার কিংকর সিং বলেন, এবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিদ্যুৎ এর খরচে কিছুটা সাশ্রয় হবে। গত বছর ২৭০ টাকা প্রতি কিলো ওয়াট প্রতিদিন বিদ্যুৎ খরচ ছিল এবার সেটা ১৮৮ টাকা করা হয়েছে। এতে বারোয়ারী গুলোর বিদ্যুৎ খরচ অনেকটা কম হবে। চন্দননগরে প্রত্যেক বারোয়ারীতে আলোর খেলা দেখা যায়। বড় বড় গেট থেকে নানা ধরনের আলোর কারসাজি থাকে। তাতে বিদ্যুৎ লাগে বেশি। বিদ্যুৎ এর দাম কমায় সেই খরচ কমবে। এছাড়া চন্দননগরে দিনে বিসর্জন ও রাতে শোভাযাত্রার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সময় কমানো হচ্ছে। একটা সময় ছিল দশমী ও একাদশীর দিন গোটা চন্দননগরকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা থাকত।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে পাঠানো নোটিস খারিজ, পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের
কিঙ্কর সিং বলেন, শোভাযাত্রার রুটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। যেসব প্রতিমা দিনে বিসর্জন হয় সেগুলোকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় আগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হত। এবার প্রতিমা বের করার সময় বিচ্ছিন্ন হবে আবার প্রতিমা বেরিয়ে গেলে লাইন জুরে দেওয়া হবে।আগের থেকে অনেক কম সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে।চন্দননগরে আন্ডার গ্রাউন্ড কেবলের কাজ চলছে।আশা করা যায় আগামী বছর এই সমস্যাও থাকবে না।
কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির চেয়ারম্যান নিমাই দাস বলেন,আগে দুদিন বিদ্যুৎ থাকত না। অসুবিধা হত আমরা মানিয়ে নিতাম। এখন অনেক উন্নতি হয়েছে।এবছর ৬২ টি বারোয়ারী শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ২৩২ টি লরি থাকবে। সেই শোভাযাত্রায় যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেটা বিদ্যুৎ দফতরকে দেখতে বলেছি।
—– রাহী হালদার