TRENDING:

চৈত্র সংক্রান্তিতে বসে মেলা, বিকেল গড়ালেই শেষ! নেপথ্যে কোন চমকপ্রদ ইতিহাস...জানেন?

Last Updated:

Chaitra Sankranti: রোদের তাপে বালি যত তপ্ত হবে ততই মানুষ বাড়ির দিকে পা বাড়ান শুরু করেন। দুপুরের পরে ভেঙে যায় মেলা। বিকেলে যে বাড়ি ফিরে মেতে উঠতে হয় গাজন উৎসবে। নদীতে স্নান সেরে বাড়ি ফেরার পরেই তো রাত পোহালে নতুন বছর।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: নদীর পাড়ে মেলা, তাও মাত্র একটা বেলার। বছরে একটা মাত্র দিন। এই দিনে বাংলা এবং প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার মানুষ মেতে ওঠেন এক অনাবিল আনন্দে। নদীর বালুচরেই বসে এই মেলা। একাধিক নদী ঘাটে মেলার আয়োজন করেন স্থানীয় মানুষজন। কেনাকাটা হয় মনোহারী জিনিসপত্র, চালা-কুলো থেকে কাঁচা সবজি। তবে এই মেলার ইতিহাস সুপ্রাচীন। নদীর পাড়ে এই এক বেলার মেলা পরিচিত ছাতু মেলা বা বালি মেলা হিসেবে।
advertisement

ট্রেনে উঠতেন, ঘুমিয়ে পড়তেন, যখন নামতেন তখন ‘ধনী’ এই যাত্রী! GRP ধরতেই ফাঁস বিশেষ কৌশল!

তরুণী প্রেমে পড়েছিলেন অঙ্কের শিক্ষকের, বিয়ের আগেই এল ‘প্রেমের ফল’! যা হল…কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার

মূলত চৈত্র সংক্রান্তির দিন বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকার দাঁতন থানার সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী একাধিক নদী ঘাটে আয়োজিত হয়। প্রতিটি নদী ঘাটে পুণ্যস্নানের পাশাপাশি নদীতে তর্পণ করেন বহু মানুষ। এরপর মেলা দেখে বাড়ি ফেরা। বছরের মাত্র একটা দিনের একটা বেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন দুই রাজ্যের মানুষজন। মিলেমিশে এক হয়ে যায় দুই রাজ্যের সংস্কৃতি। মেলার নেপথ্যে অগাধ কিংবদন্তী।

advertisement

৫ম জেনারেশন ফাইটার জেট প্রযুক্তিতে পিছোলেও বিশেষ এই ক্ষেত্রে চিন, ইউরোপকে টেক্কা ভারতের! ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্যে আপনি গর্বিত হবেন!

বাংলার নদীর পাড়ে এমন একটি মেলায় এলে মন জুড়াবে আপনার। বাংলা বছরের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিনে সংক্রান্তির পূণ্যতিথিতে সুবর্ণরেখা নদীর চরে বসে এই মেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁতন এর বেলমুলা, বালিডাংরি, সদরঘাট সহ একাধিক নদী ঘাটে হয় এই মেলা। মনে করা হয় বহমান সুবর্ণরেখা নদীর পূর্ব তীরে দাঁতন থানার একাধিক নদী ঘাটে আয়োজন করা হয় এই মেলার। এই মেলাকে ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনী। বাংলা বছরের শেষদিনে একবেলা গ্রামীন আনন্দে মেতে উঠেন হাজারও মানুষ।

advertisement

চৈত্র সংক্রান্তির দিন বালি যাত্রায় মেতে ওঠেন বাংলা ও ওড়িশার মানুষজন। দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় সুবর্ণরেখা নদীর চরে দাঁতনে এই মেলা বসে। যার নাম ছাতু সংক্রান্তির মেলা। নদীর চরে বালির ওপর মেলা বসে। তাই মেলাকে বালি যাত্রা বা নদী যাত্রাও বলা হয়।

মেলা বসে মূলত সংক্রান্তির দিন পূর্ব পুরুষদের পিণ্ডদানের ধর্মীয় রীতি পালনকে কেন্দ্র করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই মেলায় চলে পূর্বপুরুষের উদ্দেশে পিণ্ড দান। তারপরেই ছাতু খাওয়া শুরু করেন দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত বাংলার মানুষ। বালি মেলায় এক হয়ে যায় দুই রাজ্যের সংস্কৃতি। দাঁতনের বেলমূলা তথা সদরঘাট, বারাসতী ও সোনাকোনিয়াতে সহ একাধিক নদীঘাটে মেলা বসে। মেলার একটি বিশেষ বিশেষত্ব লক্ষ্য করা যায়।

advertisement

বেলমূলা থেকে বারাসতী পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার নদীর চরের একদিকে বাংলা ও অপরদিকে ওড়িশা। দুই রাজ্যের মানুষের যাতায়াত যাতে সহজে হতে পারে তাই এমন জায়গাগুলোতেই মেলা বসে। বহু মানুষ পূর্বপুরুষদের তর্পণে নদী ঘাটে আসেন।শুধু তর্পন না, মেলায় ঘোরা ও চৈত্র সংক্রান্তির পূন্যস্নানে মাতেন দুই রাজ্যের মানুষজন।

রোদের তাপে বালি যত তপ্ত হবে ততই মানুষ বাড়ির দিকে পা বাড়ান শুরু করেন। দুপুরের পরে ভেঙে যায় মেলা। বিকেলে যে বাড়ি ফিরে মেতে উঠতে হয় গাজন উৎসবে। নদীতে স্নান সেরে বাড়ি ফেরার পরেই তো রাত পোহালে নতুন বর্ষ। বর্ষবরণের আগেই যে পুণ্যের জন্য বালি যাত্রায় তর্পণে মেতে উঠতে হয়।একদিনের এক বেলার মেলাতে মিলে মিশে এক হয় বাংলা-ওড়িশার লোক সংস্কৃতি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
চৈত্র সংক্রান্তিতে বসে মেলা, বিকেল গড়ালেই শেষ! নেপথ্যে কোন চমকপ্রদ ইতিহাস...জানেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল